বঙ্গবন্ধু ছিলেন একেবারে সরল শিশুর মত..

“বঙ্গবন্ধু ক্ষণজন্মা
তার কন্ঠ ছিল আল্লাহ প্রদত্ত
আকষর্ণ ক্ষমতা”
তিনি আমাকে বিশেষভাবে চিনতেন।
আমার বাবা কফিলউদ্দিন চৌধুরী রাজনীতিবিদ ছিলেন।রাজনৈতিক জীবনে বাবার সাথে বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু আমাদের মগবাজারের বাসায় যেতেন।আমাদের বাসার বাগানে বসে বাবার সঙ্গে কখা বলতেন।আমার স্ত্রীর হাতে তৈরি চা নাস্তা খেয়েছেন।সেই গল্প আমার স্ত্রী এখনো করেন এবং গর্বের সঙ্গেই করেন।
বঙ্গবন্ধু এত সুন্দরভাবে সহজভাবে কথা বলতেন একেবারে সরল শিশুর মত।আমি এখনো ভুলতে পারিনা। আমার স্মৃতি ও মনের কোঠায় এটা চিরকালের জন্য ছবি হয়ে আছে।
বঙ্গবন্ধু একজন অমর স্হানের মানুষ।সার্থক মানুষ হতে হলে অনেক গুনের প্রয়োজন তিনি তাই একজন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন সাহসী রাজনীতিবিদ আর নেই।
বঙ্গবন্ধুর সাংগঠনিক ক্ষমতা ছিল অসাধরন। তিনি বিদ্যুৎবেগে সারাদেশে যেভাবে সংগঠন করেছিলেন তা আর কেউ করতে পারে নি।
অসাধরণ বক্তা বঙ্গবন্ধুর কন্ঠস্বরে ছিল আল্লাহ প্রদত্ত আকর্ষন ক্ষমতা।কন্ঠস্বর ছিল জাদুময় মানুষকে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা ও সন্তষ্টু করার অসাধরন ক্ষমতা।
৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট ভাষণ।এজন্যই ইউনেস্কো তার ভাষন স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে।
জীবন বাজি রেখে পরিবার পরিজনের স্বার্থ ভুলে গিয়ে নিঃস্বার্থ রাজনীতির বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করে গেছেন।বঙ্গবন্ধু হলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ।
দেশের মানুষকে যেমন ভালবেসেছিলেন ঠিক তেমনি দেশের মানুষও তাকে ভালবেসেছিলেন তা প্রমানিত হয়েছিল তার কথায় মানুষ যুদ্বে নেমেছিল ও লক্ষ লক্ষ মানুষ তার ভালো ও মঙ্গলের জন্য ৭১ সালে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেছেন রোজা রেখে মানুষ তাকে হৃদয়ে স্হান দিয়েছে।
….. সাবেক রাস্ট্রপতি ও বিএনপি প্রতিষ্টাতা সদস্য ডাঃ এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।