বন্যা দুর্গত এলাকা কুলাউড়া-রাজনগরে সেনা মোতায়েন

0
sena-

sena-

টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্লাবিত মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার বন্যা দুর্গত একালায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনীর দুটি ইউনিট। শুক্রবার বিকেল প্লাবিত এলাকায় কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী।

রাজনগরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আপ্তাব এবং ক্যাপ্টেন আশরাফের নেতৃত্বে উপজেলায় প্লাবিত এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর ৩৫ সদস্যের একটি টিম। রাজনগর কলেজে অস্থায়ী ক্যাম্প করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজগনর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসি আক্তার।

এ দিকে শুক্রবার বিকেলে মনু নদের কদমহাটা এলাকায় প্রতিরক্ষা বা*ধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে রাজনগর উপজেলার আরও কয়েকটি এলাকা। রাজনগরে প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা অন্তত ৬০টি, মনু নদে যত পানি বাড়ছে ততই প্লাবিত হচ্ছে নতুন এলাকা।

এদিকে কুলাউড়া উপজেলায় প্লাবিত ৬০টি গ্রামের পাশাপাশি মনু নদের পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুলাউড়ার হাজিপুর ইউনিয়নে সেনাবাহিনী একটি অস্থায়ী ক্যাম্প করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম জানান, কুলাউড়া ও রাজনগরে প্লাবিত এলাকায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

দ্রুত বাড়ছে মনু নদের পানি। ভেঙে গেছে গত ১১ বছরের রেকর্ড। শুক্রবার রাত ৯টায় চাঁদিনীঘাট পয়েন্টে মনু নদের পানি সকালের ১৩৫ সেন্টিমিটার বিপদসীমা থেকে বেড়ে ১৪৬ সেন্টিমিটারে দাঁড়িয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আর ১ সেন্টিমিটার পানি বাড়লে শহর রক্ষা বাঁধ উপচে পানি ঢুকবে মৌলভীবাজার শহরে।

এর আগে শুক্রবার মধ্যে জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার শাহ জালাল, সদর আসনের এমপি সায়রা মহসিন, পৌরমেয়র ফজলুর রহমান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জরুরি সভায় বাঁধ পর্যবেক্ষণের জন্য সেনাবাহিনীকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেন।

তখন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর ৫-৬ সদ্যসের একটি টিম আসবে শহর রক্ষা বাঁধ পর্যবেক্ষণে। পর্যবেক্ষণ করে যদি উনারা মনে করেন কাজ করার মতো সুযোগ বা দরকার আছে তাহলে পরবর্তীতে পূর্ণ টিম আসবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *