বরিশালে করোনাভাইরাস ইউনিটে ২জনের মত্যু

0
t161225z-2116340366-rc2spe9vzmi2-rtrmadp-3-corona-virus-1580380432541-1581780279504

হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দু’জনের মধ্যে একজনের শনিবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে এবং অপরজনের রবিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে এক নারীসহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দু’জনের মধ্যে একজনের শনিবার (২৮ মার্চ) মধ্যরাতে এবং অপরজনের রবিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে।

তিনি জানান, সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ৪৫ বছর বয়সী এক পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি পটুয়াখালীর সদর উপজেলার গোহানগাছিয়া গ্রামে।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে নেওয়া হলেও পরে রাতেই করোনাভাইরাস ইউনিটে স্থানান্তর করা হয় এবং রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।

রোগীর এক স্বজন মুঠোফোনে জানান, মৃত রোগীর দীর্ঘদিন যাবত অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

শেবাচিম’র পরিচালক জানান, এই রোগীর মৃত্যুর পর বিষয়টি আইইডিসিআর’কে জানানো হয়েছে, তাদের নির্দেশনা অনুসারে মৃতদেহ সমাহিত করার ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে শনিবার দিবাগত রাতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে নিরু বেগম (৪৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তিনি বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পুড়ানপাড়া এলাকার মো. দুলালের স্ত্রী।

হাসপাতালের এক মুখপাত্র জানান, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এর মাত্র ১৫ মিনিট আগে ওই রোগীকে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, রোগীর স্বজনদের কাছে উপসর্গগুলো শুনে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে করোনাভাইরাস ইউনিটে পাঠিয়েছিলেন। ইউনিটে নেওয়ার সাথে সাথে ওই নারীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরপরই স্বজনরা তার মৃতদেহ বাসায় নিয়ে যান।

মৃত ব্যক্তির স্বজনদের বরাতে তিনি আরও বলেন, এই রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনদিন আগে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। পরে বাড়িতে গিয়ে জ্বর, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হলে শনিবার রাতে শেবাচিমে নেয়া হয়। তার ডায়বেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ ছিল বলেও জানিয়েছেন স্বজনরা।

এছাড়া নিরু বেগমের কোনো স্বজন বিদেশ থেকে আসেননি কিংবা তিনিও বরিশালের বাইরে কোথাও যাননি বলে স্বজনদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।

প্রসঙ্গত, শনিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে পাঁচজন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তারা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেননি কর্তৃপক্ষ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *