বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আলোচনা চলছে: সু চি

0
yR‡en

yR‡en

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মিয়ানমারের আলোচনা চলছে।

বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে দেশটির ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চি একথা জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি বলেন, বাংলাদেশে থাকা মানুষদের ফিরিয়ে আনতে আমরা ঢাকা’র সঙ্গে আলোচনা করছি। আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত দুইবার এই বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সফল অতীতের ওপর ভিত্তি করে আমরা তৃতীয়বারের মতো আলোচনা করছি।

সু চি বলেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন রাখাইন ইস্যুতে বিশ্বের মনোযোগ ছিল ব্যাপক। গত বছর অক্টোবরে পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে যার শুরু। চলতি বছর আগস্টে আবারও একই ধরনের হামলা ঘটেছে। এই হামলার পর থেকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সমস্যার জন্ম হয়েছে। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। আমাদের আন্তর্জাতিক মত বুঝতে হবে। যদিও, কারও পক্ষেই আমাদের দেশের পরিস্থিতি বুঝতে পারা সম্ভব নয়। আমাদের দেশের শান্তি ও উন্নয়ন আমাদের চেয়ে কেউ বেশি চাইতে পারে না। তাই এসব সমস্যা আমাদের একতার শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।’

সু চি আরও বলেন, আপনারা সবাই জানেন রাখাইন ইস্যুতে বিশ্বের বিশাল মনোযোগ ছিল। গত বছর অক্টোবরে পুলিশ ফাঁড়িতে সন্ত্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে যার শুরু। চলতি বছর আগস্টে আবারও একই ধরনের হামলা ঘটেছে। এই হামলার পর থেকে সংশ্লিষ্ট একাধিক সমস্যার জন্ম হয়েছে। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। আমাদের আন্তর্জাতিক মত বুঝতে হবে। যদিও, কারও পক্ষেই আমাদের দেশের পরিস্থিতি বুঝতে পারা সম্ভব নয়। আমাদের দেশের শান্তি ও উন্নয়ন আমাদের চেয়ে কেউ বেশি চাইতে পারে না। তাই এসব সমস্যা আমাদের একতার শক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের দেশের উচিত যা করা প্রয়োজন তা চালিয়ে যাওয়া। অধিকন্তু তা করতে হবে সঠিক, সাহসিকতা ও কার্যকরভাবে। উন্নতি ও সফলতা অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা বাস্তবায়ন করে যাব। সমালোচনা ও অভিযোগের জবাব কথায় না দিয়ে আমাদের পদক্ষেপ ও কাজ দিয়ে বিশ্বকে দেখিয়ে দেব।’

রাখাইনে করণীয় বিষয়ে সু চি বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে আমাদের অনেক কিছুই করতে হবে। আমরা যদি করণীয় বিষয়গুলোর তালিকা করি ও অগ্রাধিকার ঠিক করি তাহলে তিনটি প্রধান করণীয় সামনে আসে। সেগুলো হলো-

প্রথমত, বাংলাদেশে যারা চলে গেছে তাদের প্রত্যাবাসন ও কার্যকরভাবে তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়া।

দ্বিতীয়ত, পুনরায় স্থানান্তর ও পুনর্বাসন।

তৃতীয়ত, অঞ্চলটির উন্নয়ন ও স্থিতিশীল শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’

সু চি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা মানুষদের পুনর্বাসন নিয়ে শুধু আমাদের কাজ করলে হবে না। রাখাইনের বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ রাখাইন ও হিন্দুদের জন্যও কাজ করতে হবে। তারা যাতে স্বাভাবিক হয় তা আমরা নিশ্চিত করব। তাদের জীবন উন্নত করতে আমরা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই কর্মসূচি গ্রহণ করব। অঞ্চলটির উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও আসন্ন দিনগুলোতে সংঘর্ষ এড়াতে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের জন্য কাজ করব।’

২৫ আগস্ট থেকে রাখাইনে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার বিষয়ে দীর্ঘদিন নীরব থাকার পর ১৯ সেপ্টেম্বর ভাষণ দিয়েছিলেন সু চি। ওই ভাষণে ৩০টি পুলিশ চেকপোস্ট আর একটি রেজিমেন্টাল হেড কোয়ার্টারে সন্ত্রাসী হামলার জন্য রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি এবং এর সমর্থকদের দায়ী করে আইনের আওতায় নেওয়ার হুমকি দেন। সেই বক্তব্যের সমালোচনায় অ্যামনেস্টি বলেছিল, বালুতে মুখ গুঁজে আছেন তিনি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তার বিরুদ্ধে এনেছিল সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন আড়ালের অভিযোগ।

১৯ সেপ্টেম্বর দেয়া ভাষণে সু চি দাবি করেছিলেন, রাখাইনে সেনা অভিযান শেষ হয়ে গেছে। সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও রোহিঙ্গাদের নিয়ে কিছু বলেননি। শুধু জানিয়েছিলেন, কেন বাংলাদেশে মুসলমানরা পালিয়ে যাচ্ছে, তা অনুসন্ধান করতে হবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *