বিএনপির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খান প্লেন ভাড়া করে সস্ত্রীক দেশ ছাড়লেন

0
web-murshed-khan-1560173204370-1590770325638

একটি প্লেন ভাড়া করে স্ত্রী নাছরিন খানকে নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সিটিসেল ও এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান। এ দম্পতি গেছেন যুক্তরাজ্যে। তবে ৩৮৩ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলায় মোরশেদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও তিনি আদালতের অনুমতিক্রমেই দেশ ছেড়েছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ভাড়া করা ওই ছোট ফ্লাইটে তারা যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান জাগোনিউজকে বলেন, ‘দুইজন যাত্রী নিয়ে একটি ভাড়া করা ছোট উইং বিমান যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে ঢাকা ছেড়েছে। তাদের পরিচয় ইমিগ্রেশন পুলিশ দিতে পারবে।’

পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘মোরশেদ খান আদালতের অর্ডার নিয়ে ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে দেশের বাইরে গিয়েছেন।’

সিটিসেলের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ৩৮৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ২০১৯ সালের ১০ জুন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী (২০১৯ সালের নভেম্বরে বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দেয়া) এম মোরশেদ খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সেদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা এক চিঠিতে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষ শাখার (এসবি) পুলিশ সুপারকে (এসএস-ইমিগ্রেশন) অনুরোধ করেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৮ জুন রাজধানীর বনানী থানায় দুদকের করা ওই অর্থ আত্মসাতের মামলায় মোরশেদ খান, তার স্ত্রী নাছরিন খান, সিটিসেলের এমডি মেহবুব চৌধুরীসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়। সিটিসেলের নামে এবি ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের মূল কোম্পানির নাম প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড (পিবিটিএল)। এম মোরশেদ খান কোম্পানিটির চেয়ারম্যান, তার স্ত্রী নাছরিন খান এর অন্যতম পরিচালক। মোরশেদ খান এবি ব্যাংকেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর সিটিসেল ২০১৬ সালে দেনার দায়ে বন্ধ হয়ে যায়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *