বিএফইউজের নির্বাচন সম্পন্ন, চলছে ভোট গণনা

0
4545

4545

শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নির্বাচন। এখন চলছে গণনা।

শুক্রবার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৫টায় শেষ হয়। ঢাকায় তিন হাজার ২৪৯ ভোটের মধ্যে এক হাজার ৯১৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে সকাল থেকেই ভোটাররা লাইন ধরে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেন। প্রতিবারের মতো এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারও প্রেস ক্লাবে বসে সাংবাদিকদের মিলনমেলা। কারণ এ মেলাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন পর একজনের সঙ্গে আরেক জনের দেখা হওয়ায় অনেকে দিনভর আড্ডা আর কুশল বিনিময় করেন।

নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা কারণে প্রেস ক্লাব সংলগ্ন টেনিস গ্রাউন্ডে প্রবেশ পথের বাইরেই সব প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচারণা সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। ভোটারদের দেয়া ছোট-বড় নির্বাচনী কার্ডও ওই সীমানার বাইরেই রেখে যেতে হচ্ছে। ভোটারদের সুবিধার্থে হাউস অনুযায়ী ভোটারের নাম ও নম্বর সম্বলিত ব্যানার টানিয়ে দেয়া হয়েছে। ভোটাররা খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে টেনিস গ্রাউন্ড সংলগ্ন পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারছেন।

অডিটোরিয়ামের ভেতরেও পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ফলে কোনো ভোটার ভিতরে থাকলেও তাকে আর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রার্থী, সমর্থক ও ভোটাররা সবাই খুশি। সবার এক কথা এর আগে সাংবাদিকদের কোনো নির্বাচনে এতো সুন্দর পরিবেশ ছিল না।

এবারের নির্বাচনে ফারুক-শাবান-দীপ পরিষদ এবং জলিল-কাজল-মধু পরিষদ ছাড়াও অনেকে স্বতস্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ফারুক-শাবান-দীপ পরিষদে সভাপতি পদে ওমর ফারুক, সহ-সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও মহাসচিব পদে শাবান মাহমুদ, যুগ্ম-মহাসচিব রফিকুল ইসলাম সবুজ, কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ এবং দফতর সম্পাদক পদে হেমায়েত হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- স্বপন দাস গুপ্ত, মফিদা আকবর, শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু ও নুরে জান্নাত সীমা।

জলিল-কাজল-মধু পরিষদে সভাপতি পদে আবদুল জলিল ভুঁইয়া, সহ-সভাপতি ড. উৎপল কুমার সরকার ও মহাসচিব পদে জাকারিয়া কাজল, যুগ্ম-মহাসচিব নাসিমা আক্তার সোমা, কোষাধ্যক্ষ মধুসুদন মণ্ডল এবং দফতর সম্পাদক পদে বরুণ ভৌমিক নয়ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এছাড়া এ পরিষদে নির্বাহী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, জহুরুল ইসলাম টুকু, খায়রুজ্জামান কামাল, শেখ মামুনূর রশিদ ও আখতার জাহান মালিক।

পরিষদের বাইরেও সভাপতি পদে স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোল্লা জালাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কোষাধ্যক্ষ পদে নজরুল কবির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। যুগ্ম-সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবদুল মজিদ, খায়রুল আলম, দীপংকর গৌতম, ফজলুল হক বাবু ও মানিক লাল ঘোষ। দফতর সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী লড়ছেন রেজাউল করিম রেজা।

পরিষদের বাইরে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকরীরা হলেন- সেবিকা রানী, মীর আফরোজ জামান, আবদুল খালেক লাভলু, শামসুর রহমান ও আখতার জাহান মালিক। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, যশোর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া ও বগুড়ার ভোটাররাও তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *