বিবৃতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট দায়িত্ব পালন করেছে :অ্যাটর্নি জেনারেল

অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেছেন, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের পর সুপ্রিম কোর্ট বসে থাকলে দেশবাসী বিভ্রান্তিতে পড়ত। এ বিভ্রান্তি দূর করতে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়ার দরকার ছিল। বিবৃতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট দায়িত্ব পালন করেছে। এর ফলে সকল বিতর্কের অবসান হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল এসব কথা বলেন। এর আগে বিকালে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের জবাবে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ (১১টি অভিযোগ) উঠার পর দেশে ফিরে এসে পুনরায় প্রধান বিচারপতির চেয়ারে বসা সুদূর পরাহত। কারন আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরা তার সঙ্গে বসে বিচার কাজ পরিচালনা করতে রাজি হননি। অন্যান্য বিচারপতিরা যদি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসে বিচার কাজ পরিচালনা না করেন তবে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। এ কারনেই তিনি ছুটিতে গেছেন।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে তিনি স্বেচ্ছায় স্বেচ্ছায় ছুটিতে গেছেন। বিদেশে যাচ্ছেন। এতদিন একটি রাজনৈতিক দল বলে আসছিল যে সরকার প্রধান বিচারপতিকে হয়রানি করছে। সুপ্রিম কোর্টের এ বিবৃতিতে প্রমাণিত হলো যে প্রধান বিচারপতিকে সরানো বা বেঞ্চে না বসানোর ক্ষেত্রে সরকারের কোন ভূমিকা নেই। বরং আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বসতে না চাওয়ায় তাকে ছুটি নিতে বাধ্য হয়েছেন।
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তাতে তার শপথ ভঙ্গ হয়েছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এখনও এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অভিযোগ প্রমাণিত হলেই কেবল শপথ ভঙ্গ হয়। অভিযোগ ওঠার পর তার সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করার প্রয়োজন আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ধারনা আমরা মেনে নেইনি। এ কারণেই ষোড়শ সংশোধনী মামলায় রিভিউ পিটিশন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক রদবদল করার ক্ষমতা আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতির কার্যভার পরিচালনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। একারণে বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার সকল নীতিগত, বিচারিক, প্রশাসনিক, বেঞ্চ গঠনসহ যাবতীয় কাজ করতে পারেন। কারণ তিনি সাংবিধানিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল প্রশ্ন রেখে বলেন, প্রধান বিচারপতি একমাস ছুটিতে থাকবেন। তাই এটা যৌক্তিক কথা নয় যে এ সময়ে কেউ প্রশাসনিক কাজ করতে পারবে না।