বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম গুরুতর অসুস্থ

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এবং পরবর্তী সময়ে যার নাম ছিল সরাইল উপজেলার মানুষের মুখে মুখে। তিনি হলেন সরাইল উপজেলার কৃতি সন্তান, সর্ব দলীয় ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, বঙ্গবন্ধুর সূর্যসৈনিক, বর্ষীয়ান জননেতা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম।
প্রচারবিমূখ এ জননেতাকে বর্তমান প্রজন্ম হয়ত তাঁকে কমই চিনে থাকবে।কারন স্থানীয় কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বা লেখক তাঁর এ বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে কোন লেখা আজ পর্যন্ত লেখেনি।তাই তাঁর সম্পর্কে হয়ত বর্তমান প্রজন্ম সেভাবে জানতে পারেনি।
আব্দুল হালিম সাহেব ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কর্মহীন যুবকদের প্রিয় ব্যক্তি, সাবেক ছাত্রনেতা, পঁচাত্তরোত্তরকালে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের নির্ভীক কান্ডারী,মাঠ চষে বেড়ানো রাজনৈতিক নেতা, তৃণমূল আওয়ামীলীগের প্রিয় ব্যক্তি,বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, সরাইলের শ্রেষ্ঠ শালিসকারক।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর যে ক’জন ছাত্রনেতা প্রতিবাদ ও আন্দোলন করেছিল, সে ছিল অন্যতম।
১৯৬৬ সালে তিনি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের ভিপি,১৯৭০ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের আহবায়ক, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধ সময়কালীন হাঁপানিয়া ক্যাম্পের প্রধান, দীর্ঘদিন সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি, পরপর দু’বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রাপ্ত।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৫০০ জন মুক্তিযোদ্ধা তাঁর অধীনে ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিল গভীর সম্পর্ক।