বেঁধেছি আমারও প্রাণ…

স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনার রোজারিও এমন মধুর রাত আগে দেখেনি। পরেও হয়তো দেখবে না। কারণ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের বিয়ে তো আর বারবার হবে না। গতকাল স্থানীয় সময় রাত ১০টায় রোজারিওর হোটেল সিটি সেন্টার ক্যাসিনোতে আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে বিয়ে করছেন লিওনেল মেসি; যা এরই মধ্যে শতাব্দীর অন্যতম সেরা বিয়ের স্বীকৃতি পেয়ে গেছে।
রোজারিওতে মেসির বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যা ছিল ২৬০ জনের মতো। তাদের মধ্যে ছিলেন বিখ্যাত ফুটবলার, গায়ক, শো-বিজ তারকা এবং মেসি-রোকুজ্জোর বাল্যবন্ধুরা। জেরার্ড পিকে ও সাকিরা এসেছিলেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার এসেছিলেন। তার বান্ধবী বরুনা মার্কুয়েজিনি আসেননি। তিনি না এলেও অবশ্য হোটেল সিটি সেন্টার ক্যাসিনোর রেডকার্পেটে হাঁটার মতো সুন্দরীর অভাব ছিল না। লুইস সুয়ারেজ এসেছিলেন বান্ধবী সোফিয়া বালাবিকে নিয়ে। জর্ডি আলবা এসেছিলেন রোমেরি ভেন্তুরাকে নিয়ে।
এ ছাড়া সস্ত্রীক এসেছিলেন স্যামুয়েল ইতো। সার্জিও আগুয়েরা সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন বান্ধবী কারিনাকে। তিনি গানও গেয়েছেন। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার মেরিন ডেমিচিলিস সঙ্গে এনেছিলেন তার বান্ধবী ইভানজোলিনা অ্যান্ডারসনকে। বিয়ের অনুষ্ঠানে মেসির গায়ে ছিল নীল রঙের আরমানি স্যুট। রোকুজ্জো পরেছিলেন ঐতিহ্যবাহী সাদা গাউন। যার ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত স্প্যানিশ ফ্যাশন ডিজাইনার রোসা ক্লারা। যিনি স্পেনের রানী লেতিজিয়ার বিয়ের পোশাক তৈরি করেছিলেন। মা-বাবার বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পুত্র থিয়াগোও।
তবে আর্জেন্টিনার মিডিয়ার খবর, রোকুজ্জোর সঙ্গে মেসির মায়ের ঝামেলার কারণে বিয়ের অনুষ্ঠান কিছুটা ম্লান হয়েছে। যদিও খবরটিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনা থেকে জাভি, সেস্ক ফ্যাব্রেগাস ও কার্লোস পুয়োলরা প্রাইভেট জেটে করে এসেছিলেন। সেখান থেকে বিলাসবহুল গাড়িতে তারা সিটি সেন্টার ক্যাসিনোতে পেঁৗছান। বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের অন্ততপক্ষে তিনটি করে পোশাক সঙ্গে আনার অনুরোধ করা হয়। যাতে কারও পোশাকের সঙ্গে কারও পোশাক মিলে না যায়। মেসির বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার মেন্যুতে ছিল বিখ্যাত লোক্রো স্টু ও এস্প্যানাদা প্যাস্টি। এ দুটি খাবার রোজারিওতে খুব জনপ্রিয়।
এ ছাড়া আর্জেন্টিনার বিখ্যাত গরুর রোস্ট তো ছিলই। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল ৪৫০ পুলিশ ও ইসরায়েলের একটি বিশেষজ্ঞ নিরাপত্তা দল। যে দলের প্রধান ছিলেন মোসাদের সাবেক এজেন্ট। অনুষ্ঠান শেষ হয় বিখ্যাত আর্জেন্টাইন গায়ক আবেল পিন্টোর গান দিয়ে।