ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ”পুতুল নাঁচের ইতকিথা”

বোরহান বাবু:-বৈচিত্রের দেশ বাংলাদেশ,বৈচিত্রময় এর প্রকৃতি, জনজীবন, এবং সংস্কৃতি প্রবাহ।বাংলাদেশের লোক ঐতিয্য এবং লোক সংস্কৃতি বাংলাদেশের প্রান।এদেশের মানুষ উৎসবে পার্বনে মেতে ওঠে নানারকম লৌকিক আয়োজনে, এসব উৎসব মানুষের কর্ম ক্লান্তিকে ভুলিয়ে দিয়ে প্রানে সঞ্চার করে নতুন কর্ম উদ্দাম ।
পুতুল নাচ বাংলাদেশের লোক সংস্কৃতীতে এক আকর্ষনিয় বিষয়। গ্রামিন মেলা, পুজা পার্বন , ঈদ , যেখানেই অবসর আর আয়োজন , গ্রমিন জনজীবনে সেখানেই বসেযায় পুতুল নাঁচের আসর। চত্রৈ সংক্রান্তি, বৈশাখি মেলা,পৌষ মেলার ভিরে হঠাৎ করেই চরা শুরে হারমোনয়িাম আর তালবাদ্যের শব্দ ,একটা রঙিন কাপড়ের প্যন্ডেল আর প্যন্ডেলের ভিতর হাসির হররা ,বুজতে বাকি থাকেনা বসেছে পুতুল নাচের আসর।
সম্পুর্ন দেশিয় উপকরনে তৈরি নানা ধরনের পুতুলগুলো কি সুন্দর নেচে চলেছে সংলাপ কিংবা নেপথ্য সঙ্গীতের সাথে। ছোট্ট একটা পুতুল মঞ্চকে সাজানো হয়কাহিনির প্রেক্ষাপট অনুসারে। পুতুল নাচের দৃশ্যমান অংশগুলোর নেপথ্যে থাকে একটা ব্যপক কর্মযজ্ঞ । এতে জরিত থাকে অনেক ধরনের মানুষ।কেউ বানান পুতুল , নেপথ্য সঙ্গীত এবং সংলাপের জন্য থাকেন কেউ কেউ,আর বাদ্যযন্ত্রী পালন করেন একটা উল্যেখযোগ্য ভুমিকা।
রঙ বেরঙের পুতুল গুলো নেচে চলে বিচিত্র ভঙ্গীমায় ,অথচ প্রান হীন এই পুতুলগুলোর মধ্যে প্রানরে সঞ্চার করেন যে মানুষ তিনি হচ্ছেন একজন দক্ষ কুশলি। হাতের বিভিন্ন অংশে সুতো বেধে সংলাপ অনুসারে পুতুলের অঙ্গ সঞ্চালন, অভিনয় এক দূরহ বিষয়। নিজের অনেক দিনেরন সাধনা আর পরিশ্রমেই সম্ভব এসব অর্জন।
দল ঘুড়ে বেড়ায় বায়না নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।মৌশুমে থাকে কাজের ভিড়, বছরের অন্য সময় থাকে অবসর। এইসব শিল্পী কলা কুশলিরা জীবিকার তাগিদে তখন ছুটে চলে অন্য পেষায়।কেউকরে দোকানদারি, কেউ করে গেরহ্স্থলি , বা অন্য কাজ।
পুতুলনাচ কিংবা গ্রামিন উৎসবের জৌলুস আজ আর সেই ভাবে নেই। সব মিলিয়ে পুতুল নাচের সেই সব শিল্পী কলা কুশলিরা আজ ভালো নেই। এর পরও দূরন্ত ষাঢ়ের সাথে লড়াই করে টিকে রয়েছে কিছু পুতুল নাচের দল। তাদের প্রায় সকলেরেই বাসস্থান ব্রাহ্মনবাড়িয়ায়। এখানেই টিকে আছে পুতুল নাচ তাদের লৌকিক বৈশিষ্ট নিয়ে।
আমাদের ধারক দল তেমনি এক পুতুল নাচের দলের সন্ধানে গিয়েছিলো ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ধনমিয়ার বাড়িতে।ধনমিয়া আজ নেই, তার সন্তানেরা কেউ আর এই পেষায় নেই।তিন ছেলে প্রবাসে, ছয় ছেলে মেয়ের মধ্যে শুধু মাত্র ধনমিয়ার ছোট ছেলে ধরে রেখেছেন বাবার এই স্মৃতিময় ঐতিয্যবাহি পেষাকে।