বয়স্ক ব্যক্তিদের মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ সরকার

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, দেশের বয়স্ক ব্যক্তিদের মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ সরকার। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বুধবার ওপেন ইন্ডেড ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এজিং এর ৮ম সেশনে একথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সংবিধান দেশের বয়স্ক নাগরিকসহ সকল নাগরিকের সম-অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে, একথা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশের ডেমোগ্রাফিক ট্রান্সিশনের প্রতি সংবেদনশীল, যেখানে প্রতিবছর প্রায় ৮০ হাজার নতুন জনসংখ্যা বয়স্ক ক্যাটাগরিতে প্রবেশ করছে।’
রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন ‘মাদ্রিদ প্লান অফ অ্যাকশন’ এর আলোকে বাংলাদেশ ‘বয়স্ক নীতিমালা’ প্রণয়ন করেছে যেখানে ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিকদের বয়স্ক নাগরিক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং একই সাথে তাঁদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে দারিদ্র্য বিমোচন ও স্বাস্থ্যসেবাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিধানাবলী সন্নিবেশিত হয়েছে।
বয়স্ক ব্যক্তিদের মর্যাদা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকার গৃহীত বয়স্ক ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য, কাজের বিনিময়ে অর্থ, ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং কর্মসূচিসহ চাকুরি হতে অবসরের বয়স ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা রাষ্ট্রদূত মোমেন তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশে অনেক এনজিও বয়স্কদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা, বিনোদন ও আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের সাথে বয়স্কদের কল্যাণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।’
কোন উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যাতে বয়স্ক ব্যক্তিগণ বাদ না পড়েন সে লক্ষ্যে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা জোরদারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করতে রাষ্ট্রদূত মোমেন সকলের প্রতি আহ্বান জানান।