ভারতের আতিথেয়তায় মুগ্ধ আ.লীগ!

0
e675fe6314cef2b06a77eb2f4d6738e4-58ebc0ab557c4

e675fe6314cef2b06a77eb2f4d6738e4-58ebc0ab557c4

দিনবদল ডেক্স: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু ছিল তিস্তাচুক্তি। তবে এ সফরে তিস্তাচুক্তি না হলেও হতাশা বা দুঃখ নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতরে। প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর কন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ভারত যে অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তা দেখিয়েছে, তাতেই মুগ্ধ দলটির নেতারা। তারা বলছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনাকে ভারত যে সম্মান দেখিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে দেশের জনগণের জন্যে গর্বের ও অহংকারের। তাই ভীষণ উৎফুল্ল আওয়ামী লীগ।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা ঘুরেফিরে শেখ হাসিনাকে ভারতের দেওয়া আতিথেয়তার বিষয়টি বার বার আলোচনায় আনেন।

দলটির নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, এবারের সফরে তিস্তাচুক্তি যে হবে না, তা আগে থেকেই জানা গিয়েছিল। তারপরও কবে নাগাদ চুক্তি হতে পারে, তা জানার আগ্রহ বাংলাদেশে ছিল।তবে তিস্তাচুক্তি না হলেও চুক্তির ক্ষেত্রে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশ্বাসই তার প্রমাণ। যদিও তিস্তার ব্যাপারে অনেকটা পাশ কাটিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তবে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা মমতার এই বিকল্প প্রস্তাবকে আমলে নিচ্ছেন না। তারা বলছেন, চুক্তি হবে ভারতের সঙ্গে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গ বা মমতার সঙ্গে নয়। বরং তার এ প্রস্তাবে সময়ক্ষেপণ হতে পারে। আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা সফর পরবর্তী মূল্যায়নে এসব কথা বলেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের মধ্যদিয়ে তিস্তাচুক্তির বিষয়ে অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তিস্তাচুক্তি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে সফলতা বা অগ্রগতি।’ তিনি বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনাকে যে আতিথেয়তা দেখিয়েছে, তা বাংলাদেশের জনগণকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ভারতের মতো শক্তিধর একটি দেশের এ ধরনের আতিথেয়তায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন,‘ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ইতোপূর্বে কোনও প্রধানমন্ত্রী রাত যাপন করেননি। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শেখ হাসিনাই প্রথম রাত যাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি ভবনে।এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্যে অবশ্যই গৌরবের।’ হানিফ বলেন,‘তিস্তা সম্পর্কে ভারতের সরকার প্রধানের আশ্বাস পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গ কি বলল তা মূল বিষয় নয়।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ভারত সরকার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে যে সম্মান দেখিয়েছে,তা বাংলাদেশের মানুষের জন্যে সম্মান ও গৌরবের।আমার বিশ্বাস, এ বিষয়টি বাংলাদেশের মানুষ মুগ্ধ হয়েছে।’

খালিদ মাহমুদ বলেন,‘তিস্তা নিয়ে অনেক অগ্রসর হয়েছে। একঅর্থে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কথা দিয়েছেন,তিস্তাচুক্তি হবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অপর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘তিস্তা হবে, সেই নিশ্চয়তা ভারতের সরকার প্রধান দিয়েছেন। এটাই অগ্রগতি।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর না হলে এই অগ্রগতিও হতো না।’ নাসিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেওয়া ভারতের আতিথেয়তা বাংলাদেশের মানুষকে মুগ্ধ করেছে।’

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *