ভুটান থেকে না সরলে কাশ্মীরে ঢুকবে চীন

0
vot

vot

ভারত-ভুটান-চীন সীমান্তবর্তী বিতর্কিত এলাকা ‘ডোকলাম’ এ ভারতীয় সেনা পাঠানোর ঘটনাকে ঘিরে কাশ্মীরে ঢুকে পড়তে পারে চীনা সেনারা।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লং শিংচুন নামে একজন বিশেষজ্ঞ এ মন্তব্য করেছেন।

চায়না ওয়েস্ট নর্মাল ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান স্টাডিজের এ পরিচালক সাম্প্রতিক ভারত-চীন উত্তেজনার সম্পূর্ণ দায় দিল্লির ঘাড়ে চাপিয়েছেন।

ভুটানকে ব্যবহার করে ভারত নিজের প্রয়োজনে ডোকলামের দখল নিয়েছে অভিযোগ করেন শিংচুন।

তিনি বলেন, ডোকলাম চীনের ভূমি। কিন্তু ভুটানকে সাহায্য করার নাম করে ভারতীয় সেনারা চীনের ডোকলাম এলাকা দখল করে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে তিনি ভারতকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ভুটান সেনা পাঠানোর অনুরোধ করলেও ভারতের উচিত ছিল যে এলাকা নিয়ে বিতর্ক নেই, সেখানে পর্যন্ত আসা, বিরোধপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ না করা। তা নাহলে, ভারতীয় যুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তান সরকার যদি অনুরোধ করে, তাহলে তৃতীয় কোনো দেশের সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে মালিকানা নিয়ে চলা বিরোধপূর্ণ এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে।

এছাড়া ডোকালামকে ঘিরে ভারত ও চীনের মধ্যে যে বিরোধ তৈরি হয়েছে তাতে বিষয়টি বেইজিং আন্তর্জাতিকীকরণ করতে পারে বলে জানান শিংচুন।

তার মতে, এমনটি হলে পশ্চিমা দেশগুলো ভারতকে সমর্থন করবে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই, কারণ তাদের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।

চীনের এই বিশেষজ্ঞ ভারতের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বেআইনী চেষ্টার অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সমতা ও অন্যের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে নাক না গলানোর পক্ষে কথা বলে আসছে। কিন্তু নিজে জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, নেপাল ও ভুটানে অনেক ভারতীয় নাগরিক বসবাস করেন, তারা দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। এ জন্য তিনি নেপাল ও ভুটানকে সিকিমের মতো ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত না হওয়ার বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।

উল্লেখ্য, ভারত-ভুটান-চীন সীমান্তবর্তী ডোকলামকে ঘিরে গত জুন থেকেই উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে।

এনিয়ে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী মুখোমুখি অবস্থান করছে।

ডোকলামকে ঘিরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে কাশ্মীরে সেনা পাঠানোর বিষয়ে মন্তব্য আসায় ভারত-চীনের মধ্যে দীর্ঘ টানাপড়েন তৈরি হতে পারে।

সূত্র: এনডিটিভি ও এবিপি আনন্দ

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *