মডেল এবং অভিনেত্রী: সুলতানা মুক্ত
আপকামিং মডেল এবং অভিনেত্রী সুলতানা মুক্ত নিজের কথা বলেছেন নিজের মুখেই। তার কথার সার সংক্ষেপ তুলে ধরা হলো এখানে
পুরো নাম সুলতানা মুক্ত। বাবা মৃত গোলাপ ভুঁইয়া, মা ময়না বেগম। ১লা জানুয়ারি জন্মেছি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদির চরিয়াকোনায়।আমার প্রাথমিক শিক্ষা তোরাব আলী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে, মাধ্যমিক- গাউছিয়া, রাহমানিয়া, হোসানিয়া, আলিয়া মাদ্রাসা। উচ্চ মাধ্যমিক- গচিহাটা কলেজ, স্নাতক- গুরুদয়াল সরকারি কলেজ এবং স্নাতকোত্তর- ইডেন মহিলা কলেজ থেকে মাস্টার্স শেষ পর্বে আছি এখন।
পরিবারে বর্তমানে মা আছেন, যিনি একজন গৃহিনী, আরও আছেন দাদী, ছোট বোন, এবং একজন ভাই, যে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা দিয়েছে, আরেকজন দশম শ্রেণির ছাত্র। ভাই বোনের মধ্যে আমি সবার বড়। আমার জীবনের আদর্শ সততা। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে সবচেয়ে ভাল লাগে। আমি আত্নতৃপ্তি পাই তাতে। মানুষকে উপহার দিতে এবং রান্না করে খাওয়াতে ভাল লাগে। ঘৃণাটা মিথ্যাবাদিদের জন্যে এবং মানুষের ক্ষতি করে যে বা যারা। আমি স্বপ্ন দেখি একজন সৎ পুলিশ অফিসার হওয়ার। মানুষ রুপি মানুষ হিসেবেই নিজেকে দেখতে চাই। আমি নিজের বাবাকে কোনোদিন বাবা ডাকিনি যা মনে হলেই নিজেকে হতভাগ্য, বোকা মনে হয়।
প্রথমত আমার বাবা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শেখ হাসিনাকে আমি আমার জীবনের আদর্শ বলে মানি।। আমার রাশি মকর, অবসরে নেট ব্রাউজ করি, টিভি দেখি। ক্রিকেট খেলা দেখা, কেনাকাটা করা, ছবি তোলা আমার খুব শখ। আমার প্রিয় গাপনের কলি “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি “।
২০১৬ থেকে আমি আমি মডেলিং পেশার সাথে যুক্ত হই। মডেলিং আমার শখ। ভাল লাগা থেকেই বেছে নিয়েছি মডেলিংকে। শুরু করেছি ফটোশুট দিয়ে, এবং অল্প কিছু ফ্যাশন হাউজের কাজ করেছি। আমি অপূর্ব ভাইয়ার “সুপার মডেল বাংলাদেশ” প্রতিযোগিতায় গ্রুমিং করেছি এছাড়া লিনা আপু, পণি ভাইয়া, এবং আয়ান ভাইয়ার কাছেও কিছু কাজ শিখেছি।এরই মধ্যে আমি অহং ফ্যাশন হাউজের কাজ করেছি। বর্তমানে পরিচালক সাজ্জাদ রাহমান এর নাট্য সংগঠন তরঙ্গিনী নাট্যকেন্দ্র’ এর একজন সক্রীয় সদস্য হিসেবে কাজ করছি। সাজ্জাদ ভাইয়ার পরিচালনায় অচিরেই বেশ কিছু শর্টমুভিতে অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।