রামপালে ইউনেস্কোর আপত্তি নেই
বিতর্কিত রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ইউনেস্কোর আর কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, যেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে সেখানেই চলতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পরিবেশ সুরক্ষার জন্য ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। সেগুলো বাংলাদেশ মেনে নিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ক্ষেত্রে শর্তগুলো মানা হবে বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, গত বুধবার পোল্যান্ডের ক্রাকাওয়ে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৪১তম সভায় সুন্দরবনের বিষয়টি আলোচনায় ওঠে। সেখানে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো তুলে ধরেন। ওই প্রতিনিধিদলটি এই কেন্দ্রের কারণে পরিবেশে যেসব প্রভাব পড়বে সেগুলোও তুলে ধরেন। তারা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন পরিবেশ সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে সুন্দরবনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না।
নসরুল হামিদ জানান, ইউনেস্কো যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করেছে তার প্রতিটির উত্তর যুক্তি দিয়ে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপারে তাদের আপত্তি তুলে নিয়েছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের নাম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের ৪১তম বার্ষিক অধিবেশনে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। তবে ইউনেস্কো ও বিশ্ব ঐতিহ্যবিষয়ক কমিটির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে মন্তব্য করা হয়নি। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সুন্দরবনের নাম বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ গেল কি গেল না, সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
About Post Author
