রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যাক্তি হয়েও নিজের শিক্ষাগুরুর জন্য লাল গালিচা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

দিনবদল ডেক্স: শিক্ষককে দেখে শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায় মাথা নুয়ে আসে বাঙালির। পরিবারের পর একজন শিক্ষকই আমাদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার শিক্ষা দেন। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ সবখানেই শিক্ষকের জায়গাটা শ্রদ্ধার-সম্মানের-ভালোবাসার।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যাক্তি হয়েও নিজের শিক্ষাগুরুকে সামনে পেয়ে সম্মান দিতে ভুলে যাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বলেই হয়তো এমন বিরল দৃশ্যের মুখোমুখি হতে পারল গোটা জাতি।
ছাত্র-শিক্ষকের চির অমলিন শ্রদ্ধা-ভালবাসার সম্পর্ককে সম্মান দেখিয়ে নিজ শিক্ষকের জন্য লাল গালিচা ছেড়ে হাঁটার অনন্য নজির স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলার’ উদ্বোধন করতে এসে এমন নজির স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ছবিটি এখন ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য জগলুল হায়দার ছবিগুলো ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে লিখেছেন, নিজের শিক্ষকের জন্য লাল গালিচা ছেড়ে হাঁটলেন বঙ্গকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
বৃহস্পতিবার একুশে বই মেলা উদ্বোধনকালে বেশ উচ্ছ্বল ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি মেলা উদ্ধোধন শেষে অতিথিদের নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বইমেলা শুধু বই কেনা বেচা না… বই আকর্ষণ করে। আমাদের সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রটা প্রসারিত করে, অজানাকে জানার সুযোগ করে দেয়। কাজেই এই বই মেলা আমাদের প্রাণের মেলা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষক।
রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ মেলার পরিসর এবার আরও বেড়েছে। বেড়েছে বইয়ের স্টল নিয়ে বসা প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা। প্রায় পাঁচ লাখ বর্গফুট এলাকায় ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭১৯টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৫ হাজার ৫৩৬ বর্গফুট আয়তনের ২৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৩৬টি লিটল ম্যাগাজিনকে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষককে নিজের আসন ছেড়ে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকার নজির স্থাপন করেন।