রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সম্মান ও মর্যাদা লাভ করেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের নাম আজ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের কণ্ঠে গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও তাদের শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ সমস্যার সমাধানে সফল হবো।’
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গাদের ইস্যুতে বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত সময়োযোগী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে এ সমস্যা সমাধানে সফল হবো।’
মৌলভীবাজার-২ আসনের এমপি মো.আব্দুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সামরিক অভিযান ও সহিংসতার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখনকার পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য সাড়ে ৩ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক লাখ ৩৪ হাজার পরিবারের জন্য অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। চার হাজার ১৮২টি নলকূপ ও ২১ হাজার ২২৪টি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সংসদকে আরও জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য ৩৬টি মেডিকেল ক্যাম্প, ১২টি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও ৬০ শয্যার একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার উৎপত্তি মিয়ানমারে হওয়ায় মিয়ানমারকেই এ সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এ লক্ষ্যে অতিসত্ত্বর সব জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে নিরাপদে ও সসম্মানে স্বদেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।