লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২৩ সেনা নিহত হয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে।

0
Ladakh-Boarder

আন্তর্জাতিক : মঙ্গলবার ভারতের পক্ষ থেকে প্রথমে তিন সেনা নিহত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। পরে এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, “সংঘর্ষে নিহত এক সেনা কর্মকর্তা ও দুই সৈনিকের সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর আহত আরও ২০ সেনা মারা গেছে।”

সংঘর্ষে গোলাগুলি হয়নি। পাথর এবং রড নিয়ে মারামারিতেই প্রাণহানি ঘটেছে বলে এর আগের খবরে জানিয়েছিল সেনাবাহিনী। কয়েক পাঁচ দশকের মধ্যে পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এটাই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সবচেয়ে বড় ঘটনা।

বার্তা সংস্থা এএনআই এক সূত্রের বরাত দিয়ে ৪৩ জন চীনা সৈন্যের হতাহতের খবর দিলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

সংঘাতে প্রাণক্ষয় নিয়ে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চীনা সংবাদমাধ্যমগুলো অনেকটাই নীরব। সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, চীনা সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘আলোচনার সঠিক পথে’ ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

হিমালয় পর্বতের পশ্চিমাংশের লাদাখে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও চীনের সামরিক বাহিনী পরস্পর মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে। এর আগে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলেও রক্তপাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এবারের সংঘর্ষের ঘটনাটি লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সোমবার রাতে ঘটেছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা বৈঠকে বসে উত্তেজনা নিরসনের চেষ্টা করেছেন বলেও জানায় তারা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতকে একতরফা কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে ঝামেলা আর না বাড়াতে বলেছে। চীনের দাবি, ভারতীয় সেনারাই প্রথম হামলা চালিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “১৫ জুন ভারতীয় পক্ষ দুবার সীমান্ত লঙ্ঘন করে উস্কানি দিয়েছে এবং চীনা সেনাদের আক্রমণ করেছে। এ থেকেই দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়।”

ওদিকে, চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ বলছে, চীনা বাহিনীতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

যদিও চীনা সেনা নিহত না আহত হয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেনি তারা।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *