শপিংমলে যারা আসছেন তারা সবাই খুঁজছেন নতুন ডিজাইনের পোশাক

0
648687

648687

দিনবদল ডেক্স: রোজার ঈদের মতো ঈদুল আজহায় পোশাকের চাহিদা থাকে না। তারপরও যারা কেনাকাটা করতে শপিংমলে আসছেন, তাদের সবাই খুঁজছেন নতুন ডিজাইনের পোশাক। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সব শ্রেণীর দেশীয় ব্র্যান্ড নিয়ে এসেছে নতুন ডিজাইনের পোশাক।

আবার ক্রেতার ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিয়ে রাজধানীর শপিংমলগুলো কেনাকাটায় নানা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। রাজধানীর কয়েকটি শপিংমল ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

শনিবার সরেজমিন দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মার্কেটে ক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সবাই কেনাকাটা করেছেন পরিবারের ছোট বাচ্চাদের জন্য। বড়দের চাইতে বাচ্চাদের পোশাকের বিক্রি ভালো।

যারা পোশাক কিনেছেন তাদের বেশিরভাগই নতুন মডেলের পোশাক খুঁজেছেন। কোরবানির ঈদের সঙ্গে মানানসই পোশাক খুঁজতে এ-ও দোকান ঘুরতে দেখা গেছে তরুণ-তরুণীদের। আড়ং, অঞ্জন’স, দেশী দশ, নবরূপা, মেট্রো, জেন্টাল পার্ক, ইনফিনিটি, ক্যাটস আইসহ দেশের শীর্র্ষ ব্র্যান্ডগুলো ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে ঈদ কালেকশন বাজারে এনেছে।

রাজধানীর রামপুরা থেকে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিণী শারমিন আক্তারের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, কোরবানির ঈদে পোশাক কেনা হয় না। তবে এবার পরিবারের সদস্যদের জন্য সামান্য কিছু পোশাক কিনেছেন। নিজের জন্যও সুতি কাপড়ের সালোয়ার কামিজ কিনেছেন।

খিলক্ষেত থেকে আসা রোকেয়া সুলতানা জানান, শুধু বাচ্চাদের পোশাক কেনাকাটা করতে এসেছেন। কারণ নতুন পোশাক ছাড়া বাচ্চারা ঈদকে ঈদের মতো উপভোগ করতে পারে না। তাই বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করতে আসা।

যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, যমুনা ফিউচার পার্ক আয়তনে বড়। স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করা যায়, হুড়াহুড়ি-ধাক্কাধাক্কি নেই। দেশের সব বড় ব্র্যান্ডের শোরুম আছে। এক ছাদের নিচে পরিবারের সবার কেনাকাটা করা যায়। তাই এখানে আসা।

কয়েকটি শোরুমের বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার কোরবানি ঈদ গরমের মধ্যে হওয়ায় সবাই সুতির কাপড়কেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বাচ্চা ও ছেলেদের সুতির পাঞ্জাবিতে বিভিন্ন ডিজাইনের সুতার কারুকাজ করা হয়েছে। অবশ্য এবার প্রিন্টের পাঞ্জাবিতে ঝোঁক বেশি।

এ ছাড়া জিন্স প্যান্ট, নরমাল প্যান্ট, থ্রি-কোয়ার্টার সেট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, গেঞ্জি, শার্ট ইত্যাদি রয়েছে ছেলেশিশুদের জন্য। আর লেস, ফিতা, কারচুপি ও স্টোনের কাজসমৃদ্ধ মেয়েদের সুতির ওয়ান পিসের বিক্রি ভালো। তাছাড়া গাউন, স্কার্ট ও লেহেঙ্গাও বিক্রি হচ্ছে।

আড়ংয়ের আউটলেট সুপারভাইজার মোজাম্মেল হক আকন্দ যুগান্তরকে বলেন, স্বাভাবিকভাবেই রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে বেচাবিক্রি কম হয়। তারপরও গতবারের তুলনায় এবার বিক্রি ভালো। ঈদের আগে বেচাবিক্রি আরও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, কোরবানির ঈদে নতুন কালেকশন এসেছে। ঈদে গরম থাকায় ছেলেরা সুতির পাঞ্জাবি ও শার্ট কিনছেন। আর মেয়েদের সুতির সালোয়ার কামিজে নতুন নতুন ডিজাইন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে নানা অঙ্কের ছাড় দিচ্ছে আড়ং। বিকাশে পেমেন্ট করলে ইন্সট্যান্ট ২০ শতাংশ ক্যাশ দেয়া হচ্ছে। আর বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডেও ছাড় দেয়া হচ্ছে।

এদিকে ক্রেতাদের ঈদ আনন্দ আরও রাঙিয়ে দিতে কোটি কোটি টাকার উপহার ঘোষণা করেছে যমুনা ফিউচার পার্ক কর্তৃপক্ষ। পুরস্কার হিসেবে থাকছে মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার, টিভি, ফ্রিজ, ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক আইটেমসহ নানা ধরনের পণ্য। এসব উপহার পেতে ক্রেতাকে শুধু যমুনা ফিউচার পার্কে যে কোনো শোরুম থেকে মাত্র এক হাজার টাকার পণ্য কিনতে হবে।

ঈদপণ্য কেনার পর গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘যমুনা ফিউচার পার্ক ঈদ-২০১৮’ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। পরবর্তী সময়ে অ্যাপের চাহিদা অনুযায়ী তথ্য পূরণ করতে হবে। তাৎক্ষণিকভাবে ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেয়া হবে, ক্রেতা কী উপহার পেয়েছেন।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *