শান্তি ও উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি খ্যাতি অর্জন করেছেন

আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, শান্তি ও উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা মাদার অব হিউম্যানিটি খ্যাতি অর্জন করেছেন। মানবতার বাতিঘর শেখ হাসিনা মায়ের মমতা, বোনের ভালবাসা নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে তিনি ৫ দফা দেওয়ায় আজ বিশ্ব নেতৃত্বও এগিয়ে এসেছে।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কলেরা টিকাদান কর্মসূচি মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম দফায় ১০ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত এক বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে অর্থাত্ প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার জনকে কলেরার টিকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় রাউন্ড চলবে ৩১ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এই রাউন্ডে ১ থেকে ৫ বছর বয়সী দুই লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শিশুকে কলেরার টিকা খাওয়ানো হবে।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ফাইলেরিয়া, কলেরা এবং এইচআইভি রোগের জন্য রোগতাত্ত্বিক জরিপ চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার ফলে ১৯ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত ছাড়াও ২১ জন যক্ষ্মা ও ছয়জন ম্যালেরিয়ার রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিকে উল্লিখিত বিশেষ টিকাদান কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ কক্সবাজার সফরে যাচ্ছেন।
জাহিদ মালেক বলেন, উখিয়া উপজেলায় প্রতিদিন দেড়শটি দল কাজ করবে, দৈনিক ৭৫ হাজার জনকে টিকা খাওয়াবে। আর টেকনাফে ৬০টি দল ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেবে। প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্র সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলে জানান তিনি।