শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীর পেট থেকে দুটি স্বর্ণের বার উদ্ধার

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিজান আহম্মদ নামে এক যাত্রীর পেট থেকে দুটি স্বর্ণের বার বের করে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া তার সঙ্গে থাকা চারটি স্বর্ণের রিং জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
শুক্রবার মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে আসেন কুমিল্লার মিজান আহম্মদ।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মালয়েশিয়া থেকে আসা যাত্রী মিজান আহম্মদের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখছিলেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তিনি শাহজালালে অবতরণের পর কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে যখন গ্রিন চ্যানেল পেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। কিন্তু তিনি স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন। এর পর তাকে শুল্ক গোয়েন্দার অফিস কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি স্বর্ণ থাকার কথা অস্বীকার করেন। পরে আর্চওয়ে মেশিনে ওই যাত্রীকে হাঁটিয়ে গোয়েন্দারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হন তার কাছে স্বর্ণ আছে।
তিনি বলেন, এর পর যাত্রীকে উত্তরার জাহানারা ক্লিনিকে নিয়ে এক্সরে করানো হয়। রিপোর্টে যাত্রীর তলপেটে স্বর্ণের অস্তিত্ব মেলে। এর পর শাহজালাল বিমানবন্দরে এনে যাত্রী টয়লেটের ভেতরে বিশেষ কায়দায় পায়ুপথ দিয়ে দুটি স্বর্ণবার বের করে আনা হয়। পরে তার হাতব্যাগ থেকে আরও চারটি স্বর্ণের রিং পাওয়া যায়। আটক স্বর্ণের পরিমাণ ২৫৮ গ্রাম, যার মূল্য প্রায় ১২ লাখ টাকা। তাকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার অপর এক অভিযানে শুল্ক গোয়েন্দারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়ালালামপুর থেকে আসা আরেক যাত্রী মতি মিয়ার কাছ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৩০০ কার্টন বিদেশি সিগারেট জব্দ করেছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, কুয়ালালামপুর থেকে আসা একটি ফ্লাইটে নরসিংদীর মতি নামে এক যাত্রী শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। ২ নম্বর বেল্ট থেকে লাগেজ সংগ্রহ করে স্ক্যানিং ফাঁকি দিয়ে গ্রিন চ্যানেল দ্রুত অতিক্রম করার সময় তার গতিরোধ করা হয়। পরে কাস্টমস হলে বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে তার সঙ্গে থাকা দুটি লাগেজ খুলে আমদানি নিষিদ্ধ ৩০০ কার্টন ব্লাক ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়, যার মূল্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা। জব্দ করা পণ্যের বিষয়ে শুল্ক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।