শেখ হাসিনার মুক্তি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন : শেখ পরশ

0

২০০৮ সালের ১১ জুন বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সেদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মুক্তি না হলে যুদ্ধাপরাধীদের এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার বিচার হতো না বলে মনে করেন বাংলাদেশ যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

শেখ ফজলে শামস পরশ আরও বলেন, সেদিন নেত্রীর মুক্তি না হলে যুদ্ধাপরাধী বিচার হতো না, জঙ্গিবাদ নির্মূল হতো না, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না। যার কারণে বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর কারামুক্তি দিবসকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন আখ্যায়িত করে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ যুবলীগ। কর্মসূচির মধ্যে বাদ জোহর রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী মাজারে কেন্দ্রীয় যুবলীগের উদ্যোগে মিলাদ দোয়া ও দুঃস্থ অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে ঢাকা উত্তর মহানগর যুবলীগ। হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে বাদ আসর মিলাদ দোয়া ও খাবার বিতরণ করা হবে। এ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় থাকবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

২০০৮ সালের ১১ জুন সামরিক শাসনের যাঁতাকল আর ঘুণে ধরা গণতন্ত্রের বেড়াজাল ভেদ করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনে উকি দেয় নতুন সূর্য। দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান মানবতায় বিশ্বজয়ী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার এ মুক্তির মধ্য দিয়ে ঐদিন রাজনৈতিকভাবে পথ হারানো বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পুনর্যাত্রা শুরু হয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় কারাগারের অভ্যন্তরে শেখ হাসিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযােগী সংগঠনের ক্রমাগত চাপ, আপসহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *