শ্রমিক বিক্ষোভে উত্তাল গ্রামীনফোনের কার্যালয় ‘জিপি হাউস’

‘জিপি হাউস’
৪ দফা দাবিতে জিপি হাউস ঘেরাও কর্মসূচি
বেসরকারি অপারেটর গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় ‘জিপি হাউস’ অবরোধসহ তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি, লভ্যাংশের ৫ শতাংশ হিসাবে ৩০০ কোটি টাকা শ্রমিকদের মাঝে বণ্টনসহ চার দফা দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ঐক্য পরিষদের নেতারা। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের শতাধিক শ্রমিক ও কর্মচারী অংশ নেন। লিখিত বক্তব্যে গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক লোকমান হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী প্রায় সাতশ’ শ্রমিক কর্মচারীরা গ্রামীণফোনের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদে চাকরি করে আসছেন। এ প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু কর্মকর্তা শ্রম আইন অনুসরণ না করে শ্রমিকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন, নিপীড়নসহ চাকরিচ্যুত করে আসছে। তারা সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এ সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের দেয়া সিদ্ধান্তও মানছে না। তাই বাধ্য হয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করছি। কর্মসূচিগুলো হচ্ছে- আগামী ৮ মার্চ (রোববার) জিপি হাউসে শ্রমিক-কর্মচারীরা জড়ো হয়ে সেখান থেকে যাত্রা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়া, ৯ মার্চ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত জিপি হাউসের প্রধান ফটকে অনশন এবং ১০ মার্চ মঙ্গলবার থেকে জিপি হাউসের সামনে লাগারত অবরোধ পালন করা হবে।
লোকমান হোসেন বলেন, দাবি আদায়ে বারবার ধরনা দিয়েও লাভ হয়নি, তাই কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হচ্ছি। তিনি বলেন, সর্বশেষ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বকেয়া বেতন পরিশোধ ও প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধি, বিনা নোটিশে বন্ধ করা সব শ্রমিকের ডিউটি চালুর ব্যবস্থা, ওয়্যার হাউসের ৩৮ জন শ্রমিকের ২ মাস ৮ দিনের বকেয়া বেতন প্রদান এবং গ্রামীণফোনের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ টাকা শ্রমিক কর্মচারীদের দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ঐক্য পরিষদ নেতারা বলেন, নানাভাবে শ্রমিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এর একটি প্রমাণ হচ্ছে- ১২৬ জন কর্মচারীকে বেতন দিচ্ছে, কিন্তু ডিউটিতে দিচ্ছে না। তাদের স্থলে অন্যদের ডিউটি দেয়া হচ্ছে। এতে ওই ১২৬ জন মানসিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে আছেন। তারা চাকরি হারানোর ভয়ে আছেন।