শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা জুম্মার সময় হামলার আশঙ্কা করছেন

শ্রীলঙ্কার মুসলিম ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে চলছে দাঙ্গা। ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এর মধ্যে আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় কট্টরপন্থী বৌদ্ধরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মুসলিমরা।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, দাঙ্গার সূত্রপাত রোববার। শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি শহরে এ মুসলিমের গাড়ির চাপায় নিহত হয় এক বৌদ্ধ। এর পর বৌদ্ধদের একটি দল স্থানীয় মুসলিমদের কিছু ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে আগুন দেয়। পরে মঙ্গলবার আরও সহিংসতা এড়াতে ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
ফাতিমা রিজকা নামের এক তরুণী আল জাজিরাকে জানান, ‘আমি আতঙ্কে থাকি এবং সারা রাত ঘুমাতে পারি না। বাড়ির পুরুষরা রাতে পাহারা দিতে যায়। আমরা বাড়িতে একা থাকি। পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে, আর তারা শুরু দেখছে… পরে কী হবে আমরা জানি না।’
ফাতিমা আরও জানান, মুসলিমদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় তাদের ওপর হামলা হতে পারে। এ জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তারা। পুরুষরা বিভিন্ন ভাগে নামাজ আদায় করবেন, যেন বাড়িতে নারী ও শিশুরা কখনোই একা না থাকে।
শ্রীলঙ্কাতে গত বছর ধরেই মুসলিম ও বৌদ্ধদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ছিল। মুসলিমরা বৌদ্ধদের জোর করে ইসলাম ধর্মে দিক্ষিত করছে ও বৌদ্ধ পুরাতাত্ত্বিক স্থানগুলো ভাংচুরে করছে বলেও অভিযোগ করে কট্টরপন্থী বৌদ্ধরা। গত বছরের শেষে মিয়ানমার থেকে মুসলিম রোহিঙ্গারা শ্রীলঙ্কায় গিয়ে আশ্রয় নিতে শুরু করলে আপত্তি জানায় দেশটির কয়েকটি বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী।