সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
home minister

home minister

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনাটি বাংলাদেশের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ওই ঘটনার পর প্রথমে আমরা ঘাবড়ে গেলেও খুব দ্রুতই পরিস্থিতি রিকভার করেছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এখন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

রোববার দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের মধ্যে তিন বাংলাদেশীসহ চারজনের স্বজনদের সমবেদনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মঞ্চের সামনে দর্শক সারিতে গিয়ে সেখানে বসা নিহতদের স্বজনদের হাতে স্মারক তুলে দেন। নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেনের পক্ষে তার বড় ভাই জারিফ আইয়াজ হোসেন, ইসরাত আখন্দের পক্ষে তার বড় ভাই আলী হায়দার আখন্দ, অবিন্তা কবিরের পক্ষে তার মামা তানভীর আহমেদ ও ভারতের নাগরিক তারিশি জৈনের পক্ষে তার চাচা নিরেন সরকার এই সমবেদনা স্মারক গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, হলি আর্টিজান হামলার পর জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এসব অভিযানে ভেঙে গেছে সব জঙ্গি নেটওয়ার্ক। এখন জঙ্গিরা কার্যতঃ পঙ্গু হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে স্বজনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন ফারাজ হোসেনের নানা লতিফুর রহমান। বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, গুলশানের হামলায় আমার নাতিকে হারিয়েছি। সেদিন আমার নাতি তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সেখানে কফি খেতে গিয়েছিল। কিছু বিপথগামী তরুণ সেখানে হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করেছে। ইসলামের সৌন্দর্যকে বিকৃত করে তারা বিপথগামী হয়েছে। গুলশান হামলায় নিহত অন্যদেরও তিনি স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসিও ইজুমি বলেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে জাপান সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। বাংলাদেশে অনেক জাপানি কাজ করছে। জাপানিরা মনে করে, বাংলাদেশের ভালো ভবিষ্যত রয়েছে। তাই সন্ত্রাস দমনে জাপান সব সময় পাশে থাকবে। এ সময় তিনি গুলশান হামলায় নিহতদের স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম ও র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেসুর রহমান, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *