সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির আমিশাপাড়ার বাসিন্দারা
নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা ১০ নং আমিশাপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ কতিপয় বখাটে সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি। অভিযুক্তরা ভদ্রগাও, বিহির গাও, বেজারগাও ও পালপাড়ার মামুন, ফয়েজ আহমেদ মোজাম্মেল হক মনা, ফিরোজ, বেল্লাল, রবিন, শামসু , মাদক সম্রাট বাবলু মকবুল, মোঃ কাওসার(চোরা কাওসার)অন্যতম। এর মধ্যে মোঃ কাওসার আন্ত:জিলা ডাকাত দলের সর্দার। সোনাইমুড়ী থেকে চাটখিল রুটে বেশিরভাগ সময় তার আনাগোনা দেখা যায়। মাঝে মাঝে দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে তাকে গভীর রাতে নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে এবং এলাকায় ঘোরাঘুরির খবর রয়েছে। এই বাড়িটির অন্যান্য পরিবার তাদের দুই ভাইয়ের কাছে জিম্মি।
অনুসন্ধানে জানা যায়- উক্ত চক্র ডাকাতির মালামাল গভীর রাতে নিজ ঘরের টং এ মজুদ করে এছাড়া বজরা দিগিরজান এলাকায় সহযোগীদের বাড়িতে মজুদ করে থাকে। এদর বিরুদ্ধে ছিনতাই, অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট, ইয়াবা, গাঁজা,মাদক ক্রয়-বিক্রয়, মোটর যান ছিনতাই ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।
কাওসার (চোরা কাওসার) ইতিপূর্বে একাদিক মামলায় জেল খেটেছে অনেক জায়গায় ডাকাতি কালে গণপিটুনি শেষে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় মোঃ কাওসার (চোরা কাওসার) এর তার বড় ভাই মোঃ আবুল খায়ের বর্তমানে আমিশা পাড়া বাজারের সিএনজি লাইনম্যান। সে ডাকাতির মাল সিএনজির মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহন ছাড়াও মাদক বিক্রি ও পরিবহনের সাথে যুক্ত। সহযোগী হিসেবে সরকার দলীয় কিছু হাইব্রীড পাতিনেতা থাকায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে প্রশাসন এড়িয়ে যান । ভদ্রগাওর সওদাগর বাড়ির মামুন,ফয়েজ ও জালাল আহমেদ এর ছেলে জহির ও দিনু উপরোক্ত গ্যাং এর সকল অপকর্মের পৃষ্ঠপোষক। এদের নির্যাতনের শিকার এলাকার শত শত পরিবার। এই দলটির এ যাবত ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ। জনৈক ভূক্তভোগী অভিযোগ করেন- কাওসার চোরা গত বছর জানুয়ারি মাসে তার বাড়ির এর গেট ভেঙে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়,ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ছিনতাইকারীদের পরিচয় জেনে বলে- আমরা ওদেরকে ধরলে যদি আপনাকে পরে গুলি করে তখন কি করবেন? অভিযোগকারী প্রাণের ভয়ে মামলা করেনি।
দিনের পর দিন এই গ্যাংটি বিরামহীনভাবে নানান ধরণের অপরাধ করতে থাকায় এলাকার মানুষ সব সময় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা মধ্যে রয়েছে। ২৮ মে উপরোক্ত গ্যাংয়ের সদস্য ৬টি মামলার পলাতক আসামি ‘মনা’ স্থানীয় র্যাব এর হাতে গ্রেফতার হলেও বাকিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমতাবস্থায় এলাকার শান্তিকামী মানুষ পুরো বাহিনীর গ্রেফতার ও শাস্তি দাবী করেছে।