সব পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে

0
153320BGMEA_kalerkantho_pic

153320BGMEA_kalerkantho_pic

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর অধীনে সব পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। আজ শনিবার দুপুরে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পোশাকশিল্প খাতের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিজিএমইএ অফিসের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, উৎসব ভাতা শতভাগ কারখানায় দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মে মাসের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়েছে শতভাগ কারখানায়। জুন মসের অগ্রিম বেতন দেওয়া হয়েছে ৯৮ শতাংশ কারখানায়। আজকে বাকি ২ শতাংশ কারখানারও দেওয়া হবে।

এ সময় বর্তমান সময়কে পোশাক খাতের সংকটময় পরিস্থিতি উল্লেখ করে আগামী ২ বছরের জন্য সম্পূর্ণভাবে উৎসে কর প্রত্যাহারসহ সরকারের বিভিন্ন সহায়তাও কামনা করেন বিজিএমইএ সভাপতি।

ইউরোপে পণ্য পরিবহন নিয়ে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। প্রতিটি জাহাজ বার্থিং এ বিলম্বের কারণে গড়ে সাত থেকে আট দিন সময় নিচ্ছে। এতে পণ্য খালাস করতে আরো আট থেকে ১০ দিনসহ মোট ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে এবং রপ্তানি কন্টেইনার জাহাজ ধীরগতি ও নির্ধারিত জাহাজের অহরহ শিডিউল পরিবর্তনের ফলে নির্ধারিত সময়ে পণ্য পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছে। যার কারণে ক্রেতারা তাদের হতাশার কথা জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হতে পারে- এ রকম ১১০০ কারখানা বিজিএমইএর মনিটরিংয়ের আওতায় ছিল। সংগঠনের পরিচালক, কারখানার মালিক ও শিল্প পুলিশের সমন্বয়ে পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় ১৫টি আঞ্চলিক কমিটি এবং ১৫টি মনিটরিং কমিটি কাজ করেছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিএমইএ অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়। সার্বক্ষণিক নিবিড় তত্ত্বাবধানের ফলে শেষ পর্যন্ত কোনো কারখানায় বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হয়নি।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *