সাজাপ্রাপ্ত আসামি সন্দেহে কিশোরকে আটক করতে গিয়ে জনতার গণধোলাই খেল পুলিশ

0

ttt

সাজাপ্রাপ্ত আসামি সন্দেহে এক কিশোরকে আটক করতে গিয়ে জনতার রোষানলে পড়েছেন হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের কনস্টেবলসহ এক বেসরকারি কর্মচারী (সোর্স)।রোববার বিকালে উপজেলার ৪নং গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের কাটাখালিকুলস্থ ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পার্শ্বে সৈয়দ পাড়া জামে মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকালে হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম সঙ্গে মো. রাসেল নামে এক সোর্সকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে ওই এলাকায় ধলই ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের মাহামুদুল হকের ছেলে নাজিম উদ্দিনকে (২৬) আটক করতে যান। এ সময় পুলিশ নাজিম উদ্দিন ও তার মামাতো ভাই সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দেয়া গুমানমর্দ্দন ইউনিয়নের কালা মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. রফিকের ছেলে মো. আব্বাসকে (১৬) আটক করে নিয়ে আসছিল। আটককৃত নাজিম ওই দিন নিজ বাড়ি থেকে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।

আটককের খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে ধাওয়া করে। চট্টগ্রাম-নাজিরহাট সড়কের সরকারহাট বাজারের পূর্ব পাশে সরকার দীঘি সংলগ্ন স্থানে তাদের বহনকারী সিএনজি অটোরিকশার গতিরোধ করে। এ সময় স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা তাদেরকে গণধোলাই দিতে শুরু করে। খবর পেয়ে গুমানমর্দ্দন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুব রহমান ঘটনাস্থলে এসে পুলিশসহ আটককৃতদের উদ্ধার করেন এবং বিক্ষুদ্ধ জনতাকে শান্ত করে ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে যান।

পরে থানা পুলিশের ৭ জন উপপরিদর্শকসহ একটি ফোর্স ইউপি কার্যালয়ে পৌঁছে ওই কনস্টেবল ও বেসরকারি কর্মচারিকে (সোর্স) থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার রোষানল থেকে পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করি এবং ঘটনাটি মডেল থানার ওসিকে অবহিত করি।

ঘটনার সত্যতা জানতে সংবাদকর্মীরা থানায় গেলে ওই কনস্টেবলকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

তবে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আটক করতে গিয়ে সামান্য ভুল বুঝাবোঝি হয়েছে। তবে ওই ঘটনা স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ওখানেই মীমাংসা হয়ে গেছে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *