সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারমুক্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি

নগর প্রতিবেদক: জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ ঘটিকায় বাংলাদেশ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান মার্শাল কমরেড লায়ন এম.এ সামাদের সভাপতিত্বে সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারমুক্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত।
মানববন্ধনে জয় বাংলা মঞ্চের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ্ নাফিয়ী বলেন, বেগম জিয়া স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের পৃষ্টপোষক হিসেবে স্বীয়কর্মে আত্মস্বীকৃত ঘাতক। সুতরাং তাকে জঙ্গী, আগুন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্টপোষকতার অপরাধে যুদ্ধাপরাধী আইনে বিচার করা হোক। ইতিমধ্যে দুর্নীতির মামলায় এতিমের টাকা আত্মসাতের অপরাধে নিু আদালত কর্তৃক বেগম জিয়া ও তার পুত্র তারেক সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। জাতি ও জনগণের সাথে প্রতারণাকারী দুর্নীতিবাজদেরকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ দেখতে চায় না। বিএনপি নেত্রী দন্ডিত হওয়ার ফলে বিএনপি রাজনীতি করার সকল নৈতিকতা হারিয়েছে। বেগম জিয়া ও তার পুত্রের পুরো শরীরটা ক্ষত, জাতি মলম দিবে কত?
বাংলাদেশ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান মার্শাল কমরেড ডা. এম.এ সামাদ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলার স্বাধীনতাকে ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যার পর ভূলন্ঠিত করা হয়েছে, বারবার লাল সবুজের পতাকা আক্রান্ত হয়েছে ও বাংলার জমিন রক্তাক্ত হয়েছে। বিভিন্ন ছদ্মবেশে সামরিক জান্তারা বারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সরকারী কোষাগার লুন্ঠন করে দল গঠন করেছে। নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে, গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মহান জাতীয় সংসদকে কলুষিত করেছে, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে ও প্রতিবাদকারীদের হত্যা করেছে। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বরে ঢাকা অবরোধে আসার সময় স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী ফুলছড়ি বাহাদুরবাদ ঘাটে ছাত্র জমায়েতের ওপর ব্যাপক হামলা ও গুলি চালায়। গুলিতে আমার ৩ বন্ধু- আফরোজ, শাওন ও রহিম নিহত হয়। আমি নিজেও গুলিবিদ্ধ হযে প্রাণে বেঁচে যাই। শত-শত ছাত্র আহত ও গ্রেফতার হয়।
আর এক রাজাকার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকে বাংলাভাই, মুফতী হান্নানকে দিয়ে জঙ্গী বাহিনী তৈরি করে বোমা-গ্রেনেড মেরে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে, অনেক মায়ের বুক খালি করেছে। স্বাধীন দেশে আমার ভাইদের রক্তে রঞ্জিত করেছে বাংলার প্রান্তর। এসকল হত্যার বিচার চায় জনগণ। প্রতিটি বিচার হলে আপনার একশত বার ফাঁসি হবে। আসুন, দেখুন হাতে গুনা আপনার কয়েকজন গোলাম শুধু কান্নাকাটি করছে আর বাকি বাংলার জনগণ আপনাকেও তালাক দিয়েছে। তারা আপনার মুখ দেখতে চায়না।
পরিশেষে সরকারের কাছে আমাদের দাবি ও জনতার দাবি- কোন সাজাপ্রাপ্ত আসামী, দেশবিরোধী রাজাকার জোট ও কোন স্বেরশাসককে একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যাবে না। আর ১০% আসন সংরক্ষিত কোটায় মেহনতি মানুষের প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম.এ জলিল, বাংলাদেশ মানবাধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, খাজা মহিবুল্লাহ্ শান্তিপুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সদস্য সচিব, মাওলানা সোলায়মান হোসেনসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।