সিলেটে হেলেনের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা অভিযোগ জহুরার

জাল দলিল তৈরি করে প্রবাসীসহ নিরীহ লোকদের জমি দখল করছে মিছবাউল ইসলাম কয়েছ ও হেলেন আহমদ। তাদের অপকর্ম এতেই থেমে থাকেনি। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি হত্যার হুমকিও নিরীহ লোকজনকে। বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সিলেট বিমানবন্দর এলাকার বড়শালার মৃত জিয়া চৌধুরীর স্ত্রী জহুরা জিয়া চৌধুরী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এক সময় তাদের পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় আহমদ হাউজিং লিমিটেডের মালিক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পরিবারের ভালো সম্পর্ক ছিল। এক সময় ওই দুটি পরিবারের পাশাপাশি এলাকাবাসীও শান্তিতে দিন যাপন করেন। কিন্তু ফরিদ উদ্দিন ও তার ছেলে রুহেল আহমদের মৃত্যুর পরই ওই পরিবারের কর্মচারী মিছবাউল ইসলাম কয়েছ কূটকৌশল চালাতে থাকে। সে রুহেলের স্ত্রী হেলেন আহমদকে নিজের কথায় ফেলে শুরু করে নানা অপকর্ম। তারা জাল দলিল তৈরি করে প্রবাসীসহ অনেক নিরীহ লোকের জমি দখল করে। কয়েছ-হেলেন চক্র এখনো অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অনেককে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। তাছাড়া মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়েরের মাধ্যমে হয়রানি করার পাশাপাশি হত্যার হুমকিও দিচ্ছে তারা। জহুরা জিয়া বলেন, তাদের বসতভিটা দখলের জন্যও মামলাবাজ মিছবাউল ও হেলেন অপতৎপরতা চালাচ্ছে। জাল কাগজপত্র তৈরির করে তারা জহুরার পরিবারের ভূ-সম্পত্তি দখল অপচেষ্টার পাশাপাশি মিথ্যা মামলাও দিয়ে হয়রানি করছে। জহুরা বেগমের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ এবং প্রবাসে থাকা তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছে ওই চক্র।
জহুরা বলেন, কয়েছ ও হেলেন নিজেদের আড়ালে রেখে অন্যকে দিয়ে নিরীহ লোকদের বিরুদ্ধে একের পর মামলা করছে। সামান্য বেতনের কর্মচারী থেকে কয়েছ কিভাবে এখন অনেক অর্থ ও সম্পদের মালিক হলো -এমন প্রশ্ন তুলে জহুরা বলেন, ওই ব্যক্তি এখন নিরীহ লোকজনকে হুমকি দেয়- ‘সামান্য টাকা প্রশাসনকে দিয়ে যেকারো জায়গা-জমি দখল করা যায়’। অপরদিকে, হেলেন আহমদ নিজেকে আওয়ামী লীগের নেত্রী পরিচয় দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে নানা অপকর্ম। অর্থের বিনিময়ে ধুরন্ধর হেলেন নিজের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিফল থেকে অনেকটা দূরে রাখতে সক্ষম হলেও ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগকে সাধারণ মানুষের কাছে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। মিছবাহ-হেলেন চক্রের হয়রানি ও অপকর্ম থেকে নিরীহ লোকজনকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের প্রতি
দাবি জানিয়ে জহুরা জিয়া বলেন, মামলাবাজ ওই দুই ব্যক্তি ও তাদের দোসরদের অপতৎপরতা বন্ধ না হলে স্থানীয় লোকজন যেমন শান্তিতে বসবাস করতে পারবে না তেমনি প্রবাসীরাও দেশের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। সংবাদ সম্মেলনে জহুরা জিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার বোনের ছেলে নজমুল আলম। উপস্থিত ছিলেন এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। এদিকে কয়েক দিন আগে সিলেটে এক অভিযোগে হেলেন আহমদ জানান, জহুরা জিয়ার লোকজন আইনের বিচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমার এবং আমার লোকজনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে মিথ্যাচার করছেন। তাদের চাঁদাবাজি মামলাটি বর্তমানে পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে।