স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে

হয়রানি বন্ধ ও স্বর্ণ আমদানিতে সুষ্ঠু নীতিমালার দাবিতে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এনবিআর, এফবিসিসিআই ও জুয়েলারি সমিতির মধ্যে সফল আলোচনার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
রাত সোয়া ১০ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, আজ রাতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরে বাজুস নেতাদের সঙ্গে সফল আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘোষিত ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যানের নির্দেশে এবং এফবিসিসিআই সভাপতির অনুরোধে শুল্ক গোয়েন্দার সদর দফতরে বাজুস নেতাদের সঙ্গে এই আলোচনা হয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা হবে না এবং স্বর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে সুষ্ঠু নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাজুসের পক্ষে সিনিয়র সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ ৮ সদস্য দলের নেতৃত্ব দেন। রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০ পর্যন্ত আলোচনা চলে। সভা থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
অন্যদিকে একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আপন জুয়েলার্সের ৫টি দোকানে গত ১৪-১৫ মে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের অভিযানে সাড়ে ১২ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়ামন্ড আটকের পর অন্যদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আশ্বস্ত করা হয়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এবং প্রমাণের আলোকে আপন জুয়েলার্সে অভিযান পরিচালিত হয়।
তিনি আরও বলেন, বিকেলে আমিন জুয়েলার্সের নিউমার্কেট শাখায় ধানমন্ডির ভ্যাট অফিস থেকে নিয়মিত চেক হওয়াকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির প্রেক্ষিতে তারা আজ বিকেলে ধর্মঘটের ডাক দেয়। সফল আলোচনার পর এই ধর্মঘট তুলে নেয়া হয়। সভায় স্বর্ণ ব্যবসার বর্তমান সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়।