হবিগঞ্জ-৪ আসনে ” তৃনমূলের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন দিতে হবে”

হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনটি চা বাগান ও শিল্প কারখানায় ভরপুর । এ নির্বাচনী আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে থাকে। দুই উপজেলার ভোটারদের একটি বিরাট অংশ চা বাগানের চা- শ্রমিক। নৌকা প্রতীক বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি এরা খুবই দুর্বল। তাই ‘৯১, ‘৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বারবার বিজয়ী হয়ে সরকারের মন্ত্রীও হয়েছিলেন। মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ বর্তমানে আমাদের মাঝে বেচে নেই। শারীরিকভাবে অসুস্থ ও বয়সে নুয়ে পড়া প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ ২০১৪ ইং সনের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন নাই। তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে এই নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব আলী সাহেব হঠাৎ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন।
এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকা অনেক দীর্ঘ ।কিন্তু গত ৮ ফেব্রোয়ারী থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত দুই উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে রাজপথে দেখা গেলেও মাননীয় সংসদ সদস্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদেরকে মাঠে পাওয়া যায় নাই।
বিশেষ করে, মাধবপুর উপজেলা সদরে মাননীয় সাংসদ ঢাকা থেকে এলাকায় আসলে লম্বা পাঞ্চাবী পরে অপেক্ষারত সহযাত্রী এম,পি লীগের হাইব্রীড নেতাদেরকেও মাঠে পাওয়া যায়নি।
কিছু সংখ্যক মনোনয়ন প্রত্যাশীকে দুর্দিনে, প্রতিবাদে, প্রতিরোধে, সংঘর্ষে, মিটিং-মিছিলে, সভা-সমাবেশে, হামলা-মামলায় তাহাদের উপস্হিতি কোনদিন দেখি নাই। কিন্তু উনারা নিজেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে প্রচার- প্রচারণায় ব্যস্ত। জয়বাংলা -জয়বঙ্গবন্ধু।
লেখক: বাবুল হোসেন খান
সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,
শাহজাহানপুর ইউনিয়ন শাখা,
মাধবপুর, হবিগঞ্জ, সিলেট ।