হিরো থেকে ভিলেন সনি রহমান

তারকারা নিজ মুখেই বলবেন মিডিয়ায় আগমনের ইতিহাস, সুখ দুঃখ, স্মৃতিকথা, সাফল্য এবং ব্যর্থতার গল্প, পাশাপাশি ভবিষ্যত জীবনের স্বপ্ন। একসময় হিরোর রোল দিয়ে অভিনয় শুরু করলেও ইদানীং তুখোড় ভিলেন। হমম, বলছিলাম সম্ভাবনাময় অভিনেতা-সনি রহমান এর কথা…
মিডিয়াতে অনেক অভিনেতা আছে যারা অভিনয় এর পাশাপাশি চাকরি করে,ব্যাবসা করে এবং অভিনয় এর পাশা পাশি পরিচালনাও করে।আমার মিডিয়ার ক্যারিয়ার শুরু ২০০০ সালে নাট্য পরিচালক মনির হোসেন জীবন এর হাত ধরে।আমি ২০০০ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত গ্রাম থেকে এসে এসে অভিনয় করতাম।২০০৫ এ আমার বাবার মৃত্যুর পর আমি আমার স্বপ্ন পুরনে দিশেহারা হয়ে পড়ি।কিন্তু মিডিয়াতে কাজ করার স্বপ্ন থেকেই যায়।২০০৬ এ আবার ছুটতে শুরু করি অভিনয় এর পিছনে।কিন্তু গ্রামে জন্ম পরিবারতো ঢাকা থাকে না। আর তখন অভিনয় করাটা বা ক্যারেক্টার পাওয়া,পারিশ্রমিক পাওয়াটাও ছিল অনেক কঠিন ব্যাপার।তার পরও হাল ছাড়িনি, ঢাকা থেকে কাজ
করাও খরচের ব্যাপার,নরসিংদী সরকারী কলেজে পড়ি,পরিবারেও সবার বড়,পারিবারিক ভাবেও গ্রামে কম নেই।কিন্তু ঢাকাতো আমি একা আত্মীয় স্বজন ঢাকায় অনেক তাদের কাছে না যেয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টাটা বেশি ছিল।তখন অভিনয় করে যে টাকা পেতাম তা দিয়ে চলাটা খুব কষ্ট হয়ে যেত, মনে হচ্ছিল এভাবে ঢাকা থাকাও হবে না অভিনয় এর স্বপ্নপুরনও হবেনা।পরিচালক আমার বড় ভাই আবু সুফিয়ান বিপ্লব আমার পরিবার সম্পর্কে জানত,ওনি বল্ল সনি বসে খাইলে রাজার ধনও শেষ হয়ে যায়।তুমি কিছু মনে না করলে আমার সাথে ক্যামেরার পিছনে কাজ কর আর পাশাপাশি অভিনয়ও কর।২০০৬ সালে শুরু হয়ে যায় শুধু মাএ বিজ্ঞাপনে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করা।২০১২ সাল পর্যন্ত অনেক বিজ্ঞাপন নির্মাতার সহকারী হিসেবে কাজ করি, তারপর সহকারী থেকে সরে এসে অভিনয় শুরু করি।আর নিজেকে হাইড রেকে গোপনে নির্মানও করি।কিন্তু এখন মনে হল অভিনয় এর পাশাপাশি কিছু করার দরকার, মিডিয়ার বাইরে অন্য ব্যাবসা বা চাকরি করলে স্বপ্নে জায়গা থেকে হয়তো সরে যাব, টাইমও দিতে পারবনা।তাই সনি কমিউনিকেশনস নামে নিজেই এ্যাড ফার্ম করলাম।আর অভিনয় এর পাশাপাশি নিজের ব্যাবসা হিসেবে বিজ্ঞাপন নির্মান,কর্পোরেট কাজ আর ইভেন্টস এর কাজ গুলো করব ইনশাআল্লাহ্।