৮ দফা দাবিতে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরীজীবীদের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১১ জুন, রোজ শুক্রবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরীজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম।
২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেটে মহার্ঘ ভাতা প্রদানে বরাদ্দ অর্ন্তভুক্ত করা, স্থায়ী পে কমিশিন গঠনের মাধ্যমে বৈষম্যহীন ৯ম পে স্কেল ঘোষণা , এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, টাইম স্বেল-সিলেকশন গ্রেড পুণর্বহাল, সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ সহ ৮ দফা দাবীতে আগামী ১৮ জুন ২০২১ খ্রিঃ এক মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।
সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের সাধারন সম্পাদক মোঃ মাহমুদুল হাসান। সাংবাদিক সম্মেলনে ৮ দফা দাবী সমূহ তুলে ধরা হয়। স্থায়ী পে কমিশিন গঠন করে ৯ম পে স্কেল ঘোষনার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ গ্রেড অনুযায়ী বেতন অর্ন্তবর্তীকালীন সময় যৌক্তিক পরিমানে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে, এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে, সকল পদে পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করে ব্লক পোষ্ট নিয়মিতকরণ করতে হবে, টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, পুনঃবহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে, সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাহিরে সকল দপ্তর, অধিদপ্তর এবং পরিদপ্তরে পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে, সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করতে হবে, নি¤œ বেতন ভোগীদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে ও বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% পুনঃনির্ধারণ সহ পেনশন গ্রাচুইটির হার ১ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করতে হবে। কাজের ধরণ অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেড একীভূত করতে হবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয় জাতীয় বেতন স্কেলের ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারিদের বিদ্যমান উর্দ্ধোগতিতে বাজারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাই “১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম” সরকারের কর্মকতা ১১-২০ গ্রেডের সকল সরকারি চাকুরীজীবীদের বিদ্যমান বেতন বৈষমম্য পদ-পদবী, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড, বিদ্যমান বিভিন্ন ভাতা বাজারব্যবস্থার সাথে অসংগতি সহ কর্মচারীদের ন্যায়্য সকল দাবি সমাধানে গত প্রায় দুই বছর ধরে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছে।
এসকল দাবী বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনে গত ০৬/০৯/২০১৯ , ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করে এবং ১৬/১০/২০১৯ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তক গঠিত জাতীয় বেতন বৈষশ্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটির সদস্যদের দপ্তরে স্মারক লিপি প্রদান করেন। পরবর্তীতে এখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় মন্ত্রী ও মাননীয় সংসদ সদস্য ও সংসদের বিভিন্ন মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সহ প্রায় ১২০ জনের অধিক সংসদ সদস্য মহোদয়েকে এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান করেন। একই বিষয়ের উপর গত ২৪/০১/২০২০ তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ এক মাননববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
১১-২০ ফোরামের দাবির স্বপক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ভাষনের উপর জাতীয় সংসদের প্রদত্ত বক্তব্যে ১১-২০ ফোরামের ৮ দফা দাবী যৌক্তিক বলে মাননীয় বিরোধী দলীয় উপ-নেতা মোঃ জি.এম কাদের ও বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ সহ আরও সরকার ও বিরোধী দলীয় ৫ জন সংসদ সদস্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৮ দফা দাবী সমূহ সংসদে উত্থাপন করেন। তাছাড়া বিভিন্ন সময় এমনকি ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষনার পূর্বেও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব ও জনপ্রশাসন সচিব সহ সরকারের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের বরাবর ৮ দফা দাবি সমূহ বাস্তবায়নে একাধিক বার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু অদ্যবদি সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। দাবী না মানলে এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানলে আগামী ১৮ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূনরায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।