আমার রাজনীতিবিদ বাবা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী : এমপি কেয়া চৌধুরী

আজ আমার বাবা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯১ সালের ১০ই জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পিতা হিসেবে পাওয়ার পাশাপাশি, একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁকে জানার ও দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার।
তাঁর রাজনীতি ছিল গ্রামীণ আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিয়ে। গ্রামের তৃণমূল মানুষ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকেই তিনি মূল উন্নয়ন মনে করতেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, গ্রামীণ জীবনমান উন্নত করার মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।
এজন্য তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে শহরমুখী হন নি। গ্রামের শ্রমজীবি মানুষের পাশে থেকে তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতেন।
গ্রামের মানুষদের তিনি এতোই ভালোবাসতেন যে, নিজের গ্রাম খাগাউড়া হওয়া স্বত্বেও, এলাকার সকল গ্রামগুলো নিজের গ্রামের মতো চষে বেড়াতেন। গ্রাম বাংলার প্রতিটি খেটেখাওয়া মানুষ ছিল তাঁর আত্মার আত্মীয়। এমনকি অমৃতা মুদারপুর গ্রামকেও তিনি তাঁর নিজের গ্রাম হিসেবে ঘোষণা দেন।
আমি নিজেও আমার এলাকার গ্রামীণ ও তৃণমূল মানুষদের ভালোবাসি। তাঁদের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, সুবিধা-অসুবিধা অনুভব করতে পারি। আমিও আমার বাবার মতো আমার এলাকার মানুষের কাছে থাকতে পছন্দ করি। আমি মনে করি, জনগণের প্রতি এই ভালোবাসা আল্লাহ প্রদত্ত একটি নিয়ামত, যা আমি বংশানুক্রমে বাবার কাছ থেকে পেয়েছি।
বাবার মৃত্যুবার্ষিকীতে আপনাদের প্রতি আমার চাওয়া, আপনারা আমার বাবার জন্য মন খোলে দোয়া করুন, যেন আমার বাবার আত্মা শান্তিতে থাকে অনন্তকাল।
আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী এমপি’র ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত।