চেতনার মৌলিক জায়গায় কাজ করতে হবে

0

joy Bangla

স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নবিরোধী পাকিস্তানী পেতাত্মাদেরকে দেশে রাজনীতিতে সচ্ছল রেখে অসম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভৌগলিক স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন হলেও বাংলাদেশ এখনো ৭১ এর ঘাতকদের হিংস্র থাবা থেকে মুক্ত হতে পারেনি।রাজনৈতিক অঙ্গনেও ৭১ এর পরাজিত অপশক্তির শিকড় অনেক গভীরে বিস্তৃত।ক্ষমতার স্বার্থে কারা কিভাবে এদের লালনপালন করছে তা নিয়েও রয়েছে জনমনে ভীষণ বিভ্রান্তি।মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো,বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও ধর্ম ও রাজনীতির আচরণ বিধির ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মৌলিক জায়গায় কাজ করতে এখনো পর্যন্ত অনেকটা বিব্রত।

আগামী সম্ভাবনার উন্নয়শীল বাংলাদেশ গড়তে হলে রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিশুদ্ধতা অপরিহার্য।যারা দেশের স্বাধীনতা,জাতীয় পতাকা,জাতীয় সংগীত ও বাঙ্গালি সংস্কৃতিকে বিশ্বাস করেনা তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন ঠিক রাখা অথবা নিবন্ধন পাওয়ার নেশায় গঠনতন্ত্রে সংবিধানের অনুকূলে কিছু গদ রাখলেও বাস্তবতায় তাদের চারণ সম্পূর্ণ বিপরীত।উল্লেখ থাকে যে কিছুসংখ্যক সংগঠন এমনও রয়েছে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মুখে কিংবা গঠতন্ত্রে আক্ষরিকভাবে উল্লেখ করে বা রাখে।কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি মাবনতাবিরোধী যুদ্ধপরাধীদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা অতীতেও করেছে এখনও করে যাচ্ছে।সেসকল রাজনৈতিক দলেরও নিবন্ধন বাতিল সহ তাদের রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করতে হবে।আর তা করতে পারলেই যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশের জম্ম তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে নচেৎ নয়।

রাজনৈতিক চিন্তাধারা ভিন্ন থাকলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে মৌলিক আদর্শের জায়গায় সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গামুক্ত অসম্প্রদায়িক দেশ গড়তে এক ও অভিন্ন সত্ত্বায় ঐক্য হয়ে একসাথে কাজ করতে হবে।দিতে হবে বৃহৎস্বার্থে হীতস্বার্থের কোরবানি।এ মহত কাজটি করার মূল ভূমিকাটি আওয়ামী লীগককেই নিতে হবে।যেহেতু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই প্রিয় বাংলাদেশের সৃষ্টি।আমার প্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের উপর একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে করে এই বিশ্বাসটুকু রাখতে চাই।নিশ্চয় দলটি জাতীয় ঐক্যের বিবেচনায় নির্বাচনকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্য করে তুলার লক্ষে দ্রুত উদ্যোগটি গ্রহণ করবে।

সরকার ও নির্বাচন কমিশন যৌথ উদ্যোগে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষে আইনকে শীতল করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যেন সকল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো নিশ্চিতভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সে সমতল সুযোগটি করে দিবে।অতএব সরকারী দল ও নির্বাচন কমিশন নিদিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ না থেকে রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের সাথে খোলামেলা আলোচানা করার মাধ্যমে একাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জাতি প্রত্যাশা করে।যার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ একটি জাতীয় নির্বাচন।

লেখকঃ- মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী
সভাপতি- জয় বাংলা মঞ্চ

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *