আলোচিত ভারতী ঘোষ গোপন ডেরায় আশ্রয় নিয়েছে

গোপন ডেরা থেকে কীভাবে অপরাধীকে টেনে বের করতে হয় তা ভালোভাবেই জানেন আলোচিত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ভারতী ঘোষ। কিন্তু এবার তিনি নিজেই আশ্রয় নিয়েছেন গোপন ডেরায়!
এমন হাইপ্রোফাইল ভিভিআইপির খোঁজ পেতে এখন সোর্সের ওপরই ভরসা করছেন গোয়েন্দারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ কয়েক সপ্তাহ ধরে লাপাত্তা। মাত্র দুই মাস আগেও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের মানুষ ছিলেন। তখন তিনি অঘোষিতভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের শাসকদলের নীতিনির্ধারকও ছিলেন।
গত দেড় মাস ধরে হন্যে হয়ে তাকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা। পশ্চিমবঙ্গে তাকে না পেয়ে গোয়েন্দা বাহিনী পাড়ি দিয়েছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও। কিন্তু তার কোনো হদিস মেলেনি।
এক গোয়েন্দা কর্তাকর্তা বলেন, ‘‘উনি দীর্ঘ ২৩ বছর ডিপার্টমেন্টে রয়েছেন। ফলে আমাদের মধ্যেও যে ওর সোর্স এখনও বেশ শক্তিশালী। তা ওর অডিওবার্তা থেকেই স্পষ্ট। তাই আমরা চেষ্টা করছি ওর সোর্সদের চিহ্নিত করার। তাহলে সহজেই ধরা যাবে ভারতী ঘোষকে।’’
ভারতী ঘনিষ্ঠ একের পর এক পুলিশ অফিসার গ্রেফতার হলেও সময় থাকতেই চাকরি ছেড়ে গোপন আস্তানায় চলে গিয়েছেন প্রাক্তন আইপিএস। ইতিমধ্যে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। কৌশলী ভারতী অবশ্য একের পর এক সিম বদলে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা থেকে রাজ্য সরকার ও সিআইডির বিরুদ্ধে বোমা ফাটানো অব্যাহত রেখেছেন। তার বয়ান থেকে গোয়েন্দারা স্পষ্ট বুঝতে পারছেন, দীর্ঘ ২৩ বছরের কর্মসূত্রে পুলিশ ও সিআইডির অন্দরে এখনও ভারতীর সোর্স অটুট। স্বভাবতই, সেই ‘সোর্স’এরও হদিস পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
গোয়েন্দাদের আশা, সোর্সের মাধ্যমেই ভারতীর গোপন ডেরার সন্দান মিলতে পারে। সেই আশাতেই ক্রমেই সোর্সদের খোঁজে জাল পাতছেন রাজ্যের দুঁদে গোয়েন্দারা। তবে ভারতীর গোপন ডেরায় তারা আদৌ পোঁছতে পারবেন কি না সেই প্রশ্নের জবাব মিলবে সময়েই।