স্কুলে যাতায়াতও নিরাপদ নয় শিশুছাত্রীরা : নোয়াখালীর ও ঠাকুরগাঁয়ে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ

স্কুলে যাতায়াতও নিরাপদ নয় শিশুছাত্রীরা। স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে তারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। নোয়াখালীর সেনবাগ ও ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় স্কুলে যাতায়াতের পথে দুই শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
সেনবাগ প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর সেনবাগের আলোচিত গার্মেন্টস কর্মীকে জিম্মি করে ধর্ষণের ঘটনা রেশ কাটতে না কাটতে ফের ধর্ষণের শিকার হলো তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। বুধবার দুপুরে স্কুলে যাওয়ার পথে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আটোচালক নুর হোসেনকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে একই এলাকার ছালা উদ্দিনের ছেলে আটোচালক নুর হোসেন ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। তার মা বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুর রহমানকে জানান। চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ মো. হানিফ ঘটনাস্থলে গিয়ে নুর হোসেনকে আটকে রাখে। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেনবাগ থানার ওসি মো হারুন অর রশিদ জানান, নুর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যতন দমন আইনে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নুর হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল পৌর এলাকার একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে মহলবাড়ী এলাকার ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী তুহিন। বুধবার বিকালে স্কুল শেষে বাড়িতে যাওয়ার পথে শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে তুহিন।
শিশুটি চিৎকার করলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তুহিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রাণীশংকৈল থানার ওসি আবদুল মান্নান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তুহিনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।