পটুয়াখালীর ইসহাকসহ ৫ জনের ফাঁসির আদেশ

0
৯৮৯

৯৮৯

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পটুয়াখালীর ইসহাক সিকদারসহ পাঁচজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার সাড়ে ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি চার আসামি হলেন- আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভী আউয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সুলাইমান মৃধা।

আদালত রায় ঘোষণার সময় এ মামলার পাঁচ আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিতে ছিলেন।

রায়ে বলা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা দুটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে।

এর মধ্যে পটুয়াখালীর ইটাবাড়িয়া গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, ১৭ জনকে হত্যার ঘটনায় আসামিদের সবাইকে মৃত্যদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আর ওই গ্রামের অন্তত ১৫ নারীকে ধর্ষণের ঘটনাতেও একই সাজার রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, এই আসামিরা ধর্ষণকে ব্যবহার করেছে অস্ত্র হিসেবে। যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তাদের সারা জীবন এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে।

‘তারা আমাদের সত্যিকারের ওয়ার হিরো। সময় এসেছে এই হিরোদের স্বীকৃতি দেয়ার।’

আর মৃত্যু পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর সাজা কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে রায়ে।

অবশ্য নিয়ম অনুযায়ী, এই রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ পাবেন আসামিরা।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টার দিকে রায় পড়া শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৫৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার।

গতকাল রোববার একই বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আ. সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে গত ৩০ মে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এর পর তাদের গ্রেফতার করা হয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *