গাজীপুরে ৪ হত্যাকান্ডে, ধর্ষণের আলামত

0
download (79)

আঞ্চলিক ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় আবদার গ্রামে গলা কেটে এক প্রবাসীর স্ত্রী, দুই মেয়ে এবং ছেলেকে হত্যাে করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে হত্যা র আগে মা ও মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে প্রবাসীর ছোট ভাই আরিফ ওই বাড়িতে গিয়ে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে।
নিহতরা হলো- মালয়েশিয়া প্রবাসী কাজলের স্ত্রী ফাতেমা (৩৫), তার বড় মেয়ে নুরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওরিন (১৪)ও প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিল (৬)। নিহত ফাতেমা ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার ঘটনাস্থলে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিন সন্তানসহ প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা নৃশংশভাবে খুন হয়েছে। তাদের প্রত্যে ককে গলা কেটে হত্যান করা হয়েছে। বডি দেখে মনে হচ্ছে তাদেরকে হত্যা করার পূর্বে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গতকাল মধ্যরাতের কোন এক সময় তাদের হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। আশাকরি শিগগিরই বিস্তারিত বলতে পারব।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য তারেক হাসান বাচ্ছু জানান, প্রবাসী কাজলের বাড়ি ময়মনসিংহের পাগলা থানার লংগাইর ইউনিয়নের গোলাবাড়ী গ্রামে। কাজাল জৈনাবাজারের আবদার গ্রামে জমি কিনে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ওই বাড়ির দোতলায় কাজলের স্ত্রী তার সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
প্রবাসী কাজলের ভাতিজা নাঈম ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তার চাচা কাজল ১৬ বছর মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন শেষে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক স্মৃতি ফাতেমাকে বিয়ে করে দেশে ফেরেন। দেশে তিনি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। তবে ব্যবসায় সুবিধা না করতে পেরে প্রায় ছয় বছর আগে তিনি আবারও মালয়েশিয়ায় চলে যান।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *