কুষ্টিয়ায় বেপরোয়া ছাত্রলীগ নেতার নির্যাতনের শিকার এক সংখ্যালঘু পরিবার

জেলা প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়া পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আনিস কোরাইশীর ছেলে শহর ছাত্রলীগের আহবায়ক হাসিব কোরায়শীর নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু পরিবার।

গতকাল রাত সাড়ে দশটায় হাসিব কুরাইশীর নেতৃত্বে শহর ছাত্রলীগের সদস্য মুনিম ওরফে বর্ণ সহ ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ মিলপাড়া এলাকার সংখ্যালঘু কার্তিক চৌধুরীর বাড়িতে ব্যাস ব্যান্ড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এই হামলায় মৃত কার্তিক চৌধুরীর স্ত্রী মুক্তা(৪০), মৃত কার্তিক চৌধুরীর মেয়ে আশা(২৫), মৃত নারায়ন চৌধুরীর স্ত্রী কল্পনা (৩৫), দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে দেবোত্তম বিশ্বাস (৩০) আহত হয়। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় গত রাতেই মুক্তা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করে। মুক্তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “গত রাতে আমরা লুডু খেলছিলাম এমন সময় হঠাৎ করে হাসিব কোরাইশী তার লোকজন নিয়ে এসে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে করে আমি, আমার বোন কল্পনা, আমার মেয়ে আশা ও আমার এক আত্মীয় দেবোত্তম আহত হয়। পরে আমি আমাদের এমপি মহোদয়ের কাছে জানায় তিনি আমাকে থানায় অভিযোগ করতে বলে। আমি থানায় গত রাতে একটি অভিযোগ দিয়ে এসেছি। আজ এই অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য হাসিব কোরাইশীর বাবা ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিস কোরাইশী বারবার ফোন দিচ্ছে। আমার একটি ছেলে আছে। আমি বিধবা। ছেলেটাকে নিয়ে খুব ভয়ে আছি। যদি ওরা ওর কিছু করে ফেলে।”

মৃত কার্তিকের ছেলে আকাশ জানান, “হাসিব কোরাইশী ছাত্রলীগের পদ পেয়ে বেপরোয়া হয়ে গেছে। আমিও সাবেক ছাত্রলীগের একজন কর্মী। আমি বাড়িতে ছিলাম না এই সময় এরা এসে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এখন থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য আমার আম্মুকে বারবার ফোন দিয়ে চাপ সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যে আমার কাছে হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ থেকে ফোন দিয়েছিল। আমি তাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই পরিবারের কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ভুক্তভোগী পরিবারের আকাশ দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সমপৃক্ত ছিলেন, এলাকায় সৎ মেধাবী হিসাবে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে, বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। পক্ষান্তরে হাসিব তার সম্পদশালী বাবার সন্তান হিসেবে এলাকাই বারবার কুকর্ম করে পাড় পেয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।