ফোনে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও শাসরোধ করে হত্যা

চাঁদপুর প্রতিনিধি:
গভীর রাতে ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে মাথায় কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে ওয়াসিম (৩২) কে হত্যা করে লাশ গুমের জন্য ওয়াপদা খালে ফেলে দেয়া হয়।গত৩০ জুন সকালে মতলব উত্তর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায় ২৯ জুন দিবাগত রাত ১২টার পর চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার নয়াকান্দি শিকিরচর গ্রামের মৃত. সাহেব আলী বেপারীর ছেলে ট্রলিচালক ওয়াসিম (৩২) কে তার চাচাতো ভাই মিজানুর রহমান বেপারী ওরফে বালু মিজান মুঠোফোনে ডেকে নেয় কথা বলার জন্য। এরপর আর ওয়াসিম ঘরে ফিরেনি।
পরের দিন সকালে বালু মিজানের ভাই আজাদ ওয়াসিম ডাকতে আসে। তারপর থেকে ওয়াসিমের খোজ শুরু হয়। মিজানের ঘরের পাশে মেঝেতে লেগে থাকা রক্ত পানি দিয়ে মুছতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। আশপাশে খোজ করে মিজানের ঘরের পাশে ওয়াপদা লেকের পানিতে লাশ দেখতে পেয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে দেখে শনাক্ত করে এটা ওয়াসিমের লাশ।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরত হাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার গনমাদ্যমের সামনে বলেন তার স্বামী, রাতে ঘরেই ছিল। রাত আনুমানিক ১২টার পর তার ফোনে কল আসে, সে (ওয়াসিম) ঘর থেকে বের হওয়ার সময় জানতে চাইলে বলে মিজান ভাই আমাকে ফোন দিছে, কথা শোনার জন্য।
এর কিছুক্ষন পর ওয়াসিমের নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। সারা রাতেও তিনি ঘরে ফিরেনি। সকালে মিজানের ঘরের সামনে রক্ত দেখে আমরা ওয়াসিম খোজতে নামি। মিজানের ঘরের পাশেই ওয়াপদা লেকে ওয়াসিমের লাশ খোজে পাই।
তিনি আরও বলেন, আমার বিয়ের পর থেকেই মিজানদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দেখছি। তারা আমার স্বামী ওয়াসিমকে কয়েকবার মারধরও করেছে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন মৃধা দিনবদল নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করি। ওয়াসিমকে পরিকল্পিত ভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর ওয়াপদা লেকের পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিনকে বাদি করে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতকদের আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।