সিনহা হত্যা: জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএনের ৩ জনকে নিয়ে গেল র‌্যাব

0
image-127463-1596428077bdjournal

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে নিয়ে গেছে র‌্যাব। তাঁদের র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এই তিনজন হলেন আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ। আদালত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ঘটনার সময় এই তিনজন শামলাপুর তল্লাশি চৌকির দায়িত্বে ছিলেন।

জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে র‌্যাবের একটি দল কারাগারে এসে সিনহা হত্যা মামলার আসামি তিন এপিবিএন সদস্যকে তুলে নিয়ে গেছেন।

৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে। পরে তাদের আরেক সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথকে নীলিমা রিসোর্ট থেকে আটক করে। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব ইতিমধ্যে এই মামলার ১৩ জন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

শুক্রবার সিনহা হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামি টেকনাফ থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও থানার এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে ঘটনাস্থল শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে নিয়ে যান র‌্যাব কর্মকর্তারা। সেখানে আসামিরা ৩১ জুলাই রাতে কী ঘটেছিল, তার বর্ণনা দেন।

117835200_787654391815008_1840345837314261805_n (1)

সিনহা হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সিনহাকে কেন গুলি করা হলো, তার কারণ জানতে আমরা এসেছি। দুই মিনিটের মধ্যে কী এমন ঘটেছিল, যে কারণে সিনহাকে গুলি করতে হলো। সেই কারণ খুঁজতেই ঘটনাস্থলে আসা।’

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেন, এপিবিএনের যে তিন সদস্যকে কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব কার্যালয়ে নেওয়া হলো, ৩১ জুলাই ঘটনার রাতে তাঁরা শামলাপুর তল্লাশিচৌকির দায়িত্বে ছিলেন। সিনহা হত্যার ব্যাপারে তাঁরা অনেক কিছু জানেন এবং দেখেছেন। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *