চলচ্চিত্রের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করেছে: তথ্যমন্ত্রী

0
35109aba9a3237912e0e26ad9bcab9e0-5c8929ef351bb

ফাইল ফটো

চলচ্চিত্র অনুদাননির্ভর হয়ে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আমরা কিছু অনুদান দিই ভালো কিছু ছবি নির্মাণের জন্য। আগে অনুদানের টাকা দিয়ে ‘আর্টফিল্ম’ হত এখন বাণিজ্যিক ছবি হচ্ছে। এর সঙ্গে কিছু শর্তও দেয়া হয়েছে। যেমন- যারা অনুদান দিয়ে সিনেমা বানাবে তাদের কমপক্ষে ১০টি হলে মুক্তি দিতে হবে। সেখানেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আজ সোমবার (১ মার্চ) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিনেমা হল নির্মাণ-সংস্কারে ব্যাংক ঋণ চালুর প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রীকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

সিনেমা হল বন্ধের পেছনে অর্থই কি মূল কারণ না অন্যকোনো কারণ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমতো সিনেমা হল বন্ধের বহুবিদ কারণ রয়েছে। সিনেমা হল শুধু বাংলাদেশে বন্ধ হয়েছে তা কিন্তু নয়। সিনেমার তীর্থস্থান বোম্বে সিটিতেও অনেক বন্ধ হয়ে গেছে ৫ সাত বছরে। কলকাতা শহরেও অনেকগুলো বন্ধ হয়ে গেছে আবার নতুন সিনেপ্লেক্স হবে। সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার পেছনে সিনেমার মান, মানুষের রুচির পরিবর্তন, অনলাইনে দেখতে পায় সেটাও একটা কারণ।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র প্রদর্শন শিল্পের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে। এ তহবিল হলো একটি প্রণোদনা প্যাকেজ বা লোন। এটি তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে এ লোন বিতরণ করা হবে।

এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বল্প সুদে ও সার্ভিস চার্জে অর্থ সিডিউল ব্যাংকে দেবে। তখন সিডিউল ব্যাংক এর সঙ্গে তাদের পরিচালনা ব্যয় যুক্ত করে জেলা শহরে ও উপজেলায় সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ভোক্তাদের কাছে এই ঋণ বিতরণ করবে। আর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরে ৫ শতাংশ সুদে এই ঋণ বিতরণ করা হবে।

৮ বছরের মেয়াদে এক বছরের গ্রেজ প্রিয়ডে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজনে দেড় হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখান থেকে ঋণ শুধু তারাই পাবে যারা সিনেমা হল সংস্কার করতে চায়, বন্ধ সিনেমা হল পুনরায় চালু করতে চায়। অথবা নতুন সিনেমা হল বানাতে চায়। একই সঙ্গে কোনো মার্কেটের ভেতরে যদি কোনো সিনেপ্লেক্স করতে চায় সেক্ষেত্রেও এ ঋণ দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম একজন ভোক্তাকে একটি হলের জন্য ৫ কোটি টাকার বেশি না দেয়ার জন্য। এ ধরনের প্যাকেজ যখন ঘোষণা করে তখন বড় বড় ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী অনেকেই বেশি ঋণ নিয়ে নেয়। তখন অনেকেই ঋণ পায় না। সেজন্য একটি হলের জন্য ৫ কোটি কেউ যদি দুইটি হল করলে সেখানে যে দুইটি হলের জন্য পাবে।

কিন্তু ব্যাংক লোন তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমেই দেয়া হবে। সকল নিয়ম-কানুন ও শর্ত পূরণ করেই নিতে হবে। আর ব্যাংকও এগুলো যাচাই-বাছাই না করে দেবে না। এখনে পার্থক্য শুধু এই যে সুদের হার কম। প্রচলিত ৯ শতাংশের স্থানে সাড়ে চার শতাংশ। এই ঋণের এটা হচ্ছে সুবিধা আর একটু দীর্ঘমেয়াদি। সুতরাং একানে খুব বেশি নয় ছয় করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, আশা করি এটি হলে অনেক বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু হবে। বেশিভাগ সিনেসা হলের আধুনিকায়ন প্রয়োজন কারণ মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার সঙ্গে খাপ-খাইয়ে সিনেমা হল সাজাতে হবে। তা না হলে মানুষ যাবে না। সুতরাং আধুনিকায়নের জন্য এ ঋণ সুবিধা কাজে লাগবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *