স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক।

0
DBN Hefajot

শাহ্‌ মুবিদ খানশূর:

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তার ধানমন্ডির বাসায় বৈঠক করেছেন হেফাজতের নেতারা। সোমবার রাত দশটার দিকে হেফাজতের অন্তত ১০ জন নেতা বৈঠকের জন্য সেখানে যান। হেফাজতের অন্তত ১০ জন শীর্ষ নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধানমন্ডির বাসায় ঢোকেন। রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা বেরিয়ে আসেন।

তাদের নেতৃত্বে ছিলেন হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী। তার সঙ্গে খেলাফত আন্দোলনের আমির আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, তার ভাতিজা মাওলানা হাবিবুল্লাহ নিয়াজী, মাওলানা মামুনুল হকের বড়ভাই মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (দেওনার পীর), হেফাজতের প্রচার সম্পাদক ও মুখপাত্র জাকারিয়া নোমান ফয়জী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। এসময় এসময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

মূলত গণগ্রেফতার বন্ধের দাবি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় হাজির হন হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করলেও গ্রেফতার বন্ধের ব্যাপারে তাদের কোন আশ্বাস দেননি। পাশাপাশি নির্দিষ্ট মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানান।

হেফাজত নেতারা কেন দেখা করেতে এসেছেন ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি কিছুই জানি না। হঠাৎ করেই তারা বাসায় এসে হাজির হন। তারা দাবি জানান, হেফাজত নেতাদের যাতে গণগ্রেপ্তার না করা হয়। তবে আমি তাদের বলেছি, কোনো গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, ঠিক তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। পাশপাশি করোনার কারনে বন্ধ কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে হেফাজত নেতা মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্যই মহাসচিব মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। হেফাজতের প্রচার সম্পাদক ও মুখপাত্র জাকারিয়া নোমান ফয়জী বলেন, ‘ফলপ্রসু বৈঠক হয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে তাদের অফিসিয়াল কোন বক্তব্য নেই।

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু জানান, ‘আপনার বা আমার আত্মীয় গ্রেফতার হলে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যেতেই পারি। সেজন্য সেটাকে তো বৈঠক বলা যায় না।’

সূত্র জানায়, হেফাজত নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রীর একান্তে কথা হয়। এ সময় হেফাজত নেতারা নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে তাদের দ্বারা বাড়াবাড়ি হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

হেফাজত নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী জানান, শিগগিরই তিনি (মন্ত্রী) চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় যাবেন। ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাদের বোঝাবেন, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ভালো নয়।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *