প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী ইসির সাক্ষাৎ

0
bb3d711a79e8c2085af97ad17092c68a-586501d4dc306

bb3d711a79e8c2085af97ad17092c68a-586501d4dc306

দিনবদল ডেক্স: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বিদায়ী নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে ৫ কমিশনার বিকালে সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। অন্য কমিশনারদের মধ্যে মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, আবু হাফিজ, জাবেদ আলী এবং মো. শাহনেওয়াজ অংশ নেন।

সাক্ষাৎ করার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সৌজন্য সাক্ষাতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা যে শপথ নিয়েছিলাম; আমরা সে শপথ রক্ষায় নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করেছি।’

ইহসানুল করিম বলেন, বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনি আইন মেনে চলায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনোদিন কোনও ফোন পান নাই। সরকার প্রধান তাদের কোনও কাজে কখনোই হস্তক্ষেপ করেন নাই।

প্রধানমন্ত্রী তার নির্বাচনি প্রচারণায় যে ভাবে নির্বাচনি আইন মেনে চলেছেন, তা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন বিদায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

নিজেদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থেকে নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন। সাহসের সঙ্গে কাজ করায় প্রধানমন্ত্রী বিদায়ী নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিইসি কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করেছি, বিদায়ী সালাম দিয়েছি। উনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের থ্যাংকস দিয়েছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ইসির পাঁচ বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেছেন কীনা- জবাবে সিইসি বলেন, আমরা উনাকে বলেছি, আলোচনা করেছি।’নতুন কমিশন নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বর্তমান কমিশন কোনো প্রস্তাব করেছে কীনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের সুপারিশ করার কোনো বিষয় নয়। এটি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন গঠন করবেন।’আগামী নির্বাচন কীভাবে ভালো করা যায়-অভিজ্ঞতার আলোকে কোনো প্রস্তাব বা সুপারিশ করেছেন কীনা- এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিব বলেন, আমরা বিদায়ী কমিশন। আমরা উনাকে সালাম দিয়ে গেলাম। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতিকে সালাম দেবো।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মেয়াদ শেষ হবে। তারপরই সাংবিধানিক দায়িত্ব নেবেন নতুন ব্যক্তিরা। তাদের অধীনেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *