ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিজেদেরই সমাধান করতে হবে

0
8e782e0641489631a9d203fdd7b34659-58f3b13b61f2f

8e782e0641489631a9d203fdd7b34659-58f3b13b61f2f

দিনবদল ডেক্স: সার্কভুক্ত দেশগুলোর সরকারের ওপর নির্ভর না করে এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সমস্যা তাদের নিজেদেরই সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ম. তামিম। তিনি বলেন, ‘সরকারের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো উচিত।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যেমন বিদ্যুৎ আদান-প্রদান হয়, তেমনি সার্কভুক্ত দেশেও বিদ্যুতের কমন মার্কেট করা যেতে পারে। সেই মার্কেট থেকে প্রয়োজনে দেশগুলো বিদ্যুৎ কিনে নেবে।’
রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সার্ক সিসিআই) এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে সার্ক সিসিআই সভাপতি সুরাজ বৈদ্য বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ মানুষ সন্ত্রাসবাদী। বাকি ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ মানুষই ভালো। অথচ এই সামান্য কয়েকজন সন্ত্রাসবাদীর কারণে ভালো মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ দক্ষিণ এশিয়ার ৯৫ শতাংশ মানুষ আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কে বিশ্বাস করে বলেও দাবি করেন সুরাজ বৈদ্য।

সুরাজ বৈদ্য আরও বলেন, ‘সার্ক দেশগুলোর ভালো মানুষেরা এ অঞ্চলে অবাধে চলাচল করতে পারে না। এটা কি সার্কের আশাবাদের প্রতি ন্যায্য আচরণ? সন্ত্রাসীরা কিন্তু ঠিকই ঘুরে বেড়ায়। তাদের ভিসারও প্রয়োজন হয় না!’

গোলটেবিল বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য জোটের তুলনায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য কম। অশুল্ক বাধা দূর করতে না পারলে আন্তঃবাণিজ্য বাড়বে না। বাণিজ্য বাড়াতে দেশগুলোর মধ্যে পোর্ট কানেক্টিভিটি, সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগও বাড়ানো উচিত।’ তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে বিবিআইএনের মতো সার্ক মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট করা যেতে পারে। পাশাপাশি সাফটার রুলস সহজ করা উচিত যেন ব্যবসায়ীদের কাছে তা সহজবোধ্য হয়।’

পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তৈমুর তাজাম্মেল বলেন, ‘রুলস অব অরিজিন, নন-ট্যারিফ ও প্যারা ট্যারিফ বাধা দূর করতে না পারলে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়বে না।’

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এ অঞ্চলের প্রতিটি দেশই প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। গত কয়েক বছরে প্রতিটি দেশেরই প্রবৃদ্ধি ভালো হয়েছে। সবাই একসঙ্গে মিলে এগিয়ে যেতে পারলে অবিশ্বাস্য প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।’

গোলটেবিল বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নেপাল অ্যাম্বাসির ধন বাহাদুর ওলী, পাকিস্তান হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সুলেমান খান, পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তৈমুর তাজমহল, নেপালের গবেষক খ্রিশিজ দাহাল, শ্রীলঙ্কার গবেষক কিথমিনা হেওয়াজ প্রমুখ।

About Post Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *