সারাদেশে ধর্ষণ বিরোধী প্রচারণা শুরু শনিবার

দিনবদল ডেক্স: সারাদেশে আগামী শনিবার (১৩ মে) থেকে ধর্ষণবিরোধী ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। ধর্ষণের বিচার সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যৌননিপীড়ন বিরোধী নির্দলীয় ছাত্র জোট। বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে আয়োজকরা চারদফা দাবি ঘোষণা দেওয়া হয়।
চারদফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ধর্ষণ মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা বন্ধ করে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা, ও নারী সেল গঠন করে ধর্ষকদের জেরা করার ব্যবস্থা করা।
সমাবেশ থেকে দেশব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু হবে ময়মনসিংহ জেলা থেকে। ধারাবাহিকভাবে চলবে বিভিন্ন জেলায়।
ধর্ষণবিরোধী ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, ‘যে দেশে নারী পুলিশ নিজেই বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়, সে দেশে দরিদ্র মানুষ বিচার পাবে কী করে?’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, দিনে গড়ে তিনজন ধর্ষণের শিকার হয়। কেবল এপ্রিল মাসেই ৮৪নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
লেখক, শিল্পী ছাত্র শিক্ষকদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদী জনতা বলেন, ‘বনানীতে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হলেও এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। এতে সন্দেহের সৃষ্টি করে। পুলিশ শুরু থেকেই যে নেতিবাচক আচরণ করছে, তা ন্যয় বিচারের জন্য হুমকি।’
ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম তার বক্তব্যে বলেন, “ধর্ষণের মহোৎসবে’র বিরুদ্ধে সবার জেগে ওঠা উচিত। এ জন্য মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় প্রজন্ম তরুণ সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে।”
প্রকাশক ও অ্যাক্টিভিস্ট রবীন আহসান বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার হয়ে একের পর এক আত্মহত্যা করছে, এটাও প্রতিবাদের অংশ।’
উদীচি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম সমাবেশে বলেন, ‘ধর্ষণকারীদের শাস্তি দিতে হবে, এর পাশাপাশি ধর্ষণের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। নারীদের নিজেদের প্রতি সম্মান তৈরী করা শিখতে হবে।’
অনুষ্ঠানের আয়োজক শিবলী হাসান বলেন, ‘প্রভাব ও অর্থের জোরে অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে।’
সন্তানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরে নিজের সন্তানের পক্ষে কথা বলেন যে ব্যবসায়ী পিতা। ওই ব্যবসায়ী ও ধর্ষকের বিরদ্ধে ব্যবসায়ীদের কর্মসূচি না দেওয়ার সমালোচনা করেন শিবলী হাসান।