ক্রেডিট কার্ডের সুদহারে লাগাম
দিনবদল ডেক্স: সব ধরনের ঋণের সুদহার কমে এলেও ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার কমাচ্ছিল না ব্যাংকগুলো। অবশেষে এতে ঊর্ধ্বসীমা টেনে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকগুলো যে হারে ভোক্তা ঋণের সুদ আদায় করে থাকে, ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার তার চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বেশি পর্যন্ত হতে পারবে; তার বেশি হবে না। এতে ক্রেডিট কার্ডের বাৎসরিক সুদের হার কমে ২২-২৩ শতাংশের মধ্যে চলে আসবে; যেখানে সুদের হার এত দিন ছিল ৩০ থেকে ৩৬ শতাংশ।
ক্রেডিট কার্ড পরিচালনার জন্য জারি করা নীতিমালায় এই সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এত দিন দেশের ব্যাংকগুলোর ক্রেডিট কার্ড পরিচালনার কোনো নীতিমালা ছিল না। ফলে ক্রেডিট কার্ডে উচ্চ সুদ আদায় করত ব্যাংকগুলো। এখন ‘গাইডলাইনস অন ক্রেডিট কার্ড অপারেশনস অব ব্যাংকস’ অনুসরণ করতে হবে সব ব্যাংককে। ক্রেডিট কার্ড হচ্ছে একটি ঋণপণ্য, যার মাধ্যমে গ্রাহক বাকিতে কেনাকাটা করতে পারে এবং স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, ‘একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে এই নীতিমালা করা হলো। সুদের হারটাই এর প্রধান বিষয়। এটা কমানো দরকার ছিল। ’
গত বৃহস্পতিবার একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
মহাব্যবস্থাপক নাছের বলেন, ‘আমরা এবার সুদহারের ওপর বার (সর্বোচ্চ সীমা) দিয়ে দিয়েছি। আমরা নীতিমালায় বলেছি, একটি ব্যাংক কনজ্যুমার ক্রেডিটে (ভোক্তা ঋণ) যে হারে সুদ নেয়, তার চেয়ে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি সুদ ক্রেডিট কার্ডে হতে পারবে। ’
এখন অনেক ব্যাংক বাৎসরিক ৩০ থেকে ৩৬ শতাংশ হারেও সুদ নিচ্ছে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে। ক্রেডিট কার্ড থেকে ঋণ কিস্তি আকারে পরিশোধ করার ক্ষেত্রে এখন পুরো ঋণের ওপর সুদ ধরা হয়। নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেটুকু আসল বাকি থাকে তার ওপর সুদ ধার্য করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি মাসে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহককে তার বকেয়া সম্পর্কে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ব্যাংকগুলো ভোক্তা ঋণে সর্বনিম্ন ৯ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ সুদ আদায় করছে। অথচ ক্রেডিট কার্ডে সর্বনিম্ন ২৪ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ৩৬ শতাংশ সুদ নিয়ে আসছে ব্যাংকগুলো।