গণহত্যা অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক জোট গঠনের প্রস্তাব

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক গণহত্যা অনুসন্ধান ও বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক একটি জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যাপকভিত্তিক নৃশংসতার কথা স্মরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘বাংলাদেশে গণহত্যা ও বিচার’ শীর্ষক পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, ‘কেবল বাংলাদেশ নয় অতীতে বিশ্বের অন্যান্য এলাকায়ও যা কিছু ঘটেছে তা বারবার স্মরণ করার জন্য আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই। ভবিষ্যতে গণহত্যা প্রতিরোধে অতীত থেকে শিক্ষা নেয়া জরুরী।’
তিনি বলেন, ‘হতভাগ্যদের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে এবং এর জন্য অবশ্যই দায়মুক্তির অবসান ঘটাতে হবে।’
মন্ত্রী ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসাবে স্বীকৃতির বিষয়ে এটাই সময় এবং ১৯৭১-এর গণহত্যা ভুলে যাওয়ার মত গণহত্যা হিসাবে দেখলে চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘গণহত্যার ইতিহাস অবশ্যই স্মরণ করতে হবে এবং এই আন্তর্জাতিক অপরাধ সংঘটনকারীদের অবশ্যই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; এখন যেমনটি বাংলাদেশ করছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘সরকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারের তথ্যাদি ও বিচার প্রাঙ্গণও সংরক্ষণের পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সুবিচারের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ইতিহাস সংরক্ষণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য বিদেশি প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনে বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, ইতিহাসবিদ ও মানবাধিকার কর্মীরা অংশ নেন। সমাপনী অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন আর্জেন্টিনার বিচারক কার্লস রোজানস্কি ও অধ্যাপক ডেনিয়েল ফেরেস্টেইন, কানাডার অধ্যাপক এডাম জন্স, কম্বোডিয়ার ড. হেলেন জার্ভিস, যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক আলেক্সান্ডার হিন্টন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মহাফেজখানা তত্ত্বাবধায়ক টুডে এইচ পিটারসন।